সেই অনেক আগের কথা মানে আমার আব্বুর খালার গল্প। তখন ওই খালা নিজেই ছোট। ওই সময় গ্রামে ছিলো না কারেন্ট, রাত শুরু হতো সন্ধ্যা নামলেই।রাত ৮টা মানে ঘুমানোর সময়।মোবাইল ফোন ছিলো না যোগাযোগ এর জন্য।ল্যান্ডফোন ছিলো যা গ্রামের বাজারের দোকানেই থাকতো কিন্তু রাত ৮টায় বাজার বন্ধ হতে শুরু করতো।কি একটা জীবন ছিলো তাদের।তো ঐ সময় শীতের রাত তো আরও ভয়ংকর ছিলো।জলদি সবাই ঘুমিয়ে পড়তো কিন্তু পিঠা বানানোর উৎসব এর বিষয় টা ছিলো অন্যরকম। তখন কিন্তু বেশ জেগে থাকতো বাড়ির মহিলারা।তেমন ই এক পিঠা বানানোর রাতে আমার সেই দাদী পিঠা বানানোর কাজে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য বাড়ির মহিলাদের সাহায্য করছিলেন।সাহায্য করতে করতে রাত ১০টা।এবার বাড়ি ফেরার পালা।দাদীর হাতে পিঠার ব্যাগ তার উপর রসুন এছাড়া ওনাকে দোয়া পড়ে ফুঁক দিয়েও দিয়েছিলো ওই বাসার মহিলা।এদিকে দাদী খুব সাহসী হলেও পরিবেশটা ছিলো খুবই ভৌতিক গা ছমছমে। ভয় পেতে না চাইলেও ভয় লাগবে। তো দাদী রওনা হলো সব বেঁধে। কিছু দূর যাওয়ার পর ই দেখে রাস্তা জুড়ে এক বাঁশ পড়ে আছে তাও বিশাল। দাদী যা বোঝার বুঝে গেছেন।এখন কি করেন!!?? বলেই ছিলাম উনি খুব সাহসী তো উনি বিসমিল্লাহ বলে বাঁশটা ডিঙিয়ে সোজা হাটা।বেশ এগিয়ে পিছে ফিরে দেখেন বাঁশ উধাও... নেই মানে একদম নেই বাঁশের কোন চিহ্ন।দাদীর তো যা বোঝার তা বুঝে গেছেন।কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা দৌড়ে বাড়ি.... এদিকে আমি এই গল্প শুনে নিজেই ঘুমাতে পারিনি হপ্তাখানেক।