Posts

ইন্টারভিউ

আমি জানতাম সে চুরি করবে।

December 11, 2025

Shafin pro

20
View

আমি জানতাম সে লুকিয়ে চুরি করবে। 

তারপরেও আমি তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলাম 

আমার সাথে তাকে গাড়িতে নিয়ে গেলাম 

কেন জানেন নিয়ে গেলাম। 

আপনারা এই জিনিসটি বুঝতে একটু সময় লাগতো 

আমি দেখলাম সে লোকটি খুবই রাস্তায় ছুটা ছুটি করতেছে।

রুমে বিভিন্ন লোকের সাথে ধরাধরি করতেছে ঘাটে যাওয়ার জন্য। 

কারো সাথে দরদাম বলতেছিল না

কেন জানেন সেখানে যেতে যে টাকা লাগবে তার কাছে সে টাকা নেই‌।

আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবেন কত দিবেন।

সে আমাকে বলল যে ভাই ঘাটে যাব এত টাকা দিব। 

আমি বললাম ভাই ঘাটে যেতে হলে আরো কিছু টাকা এড করতে হবে। 

সে বলল ভাই আমি আর বেশি টাকা দিতে পারবো না এটা হলে তাহলে চলে না।

কারন আমার ঘাটে যাওয়া খুবই দরকার ছিল তাই একজন লোক সাথে নিয়ে খেয়াল একজনের উপকার হয়।

আমি তাকে রাস্তায় পরীক্ষা করে দেখলাম তার কি পরিমাণ যাতায়াতের পয়সা আছে। 

হিশেব মিলিয়ে দেখলাম যে তার কাছে যে পরিমাণ টাকা আছে তাতে তার বাড়িতে যেতে খুবই কষ্ট হবে।

আমি চেয়েছিলাম যে লোকটি আমার সাথে বসে যেন তার সমস্যার কথা বলে যে ভাই আমি আপনাকে কিছুই দিতে পারবো না আমাকে নিয়ে চলেন ঘাটে।

পথিমধ্যে রাস্তায় আন্দোলন থাকার কারণে চতুর রাস্তা জাম হয়ে যায়। 

তখন ঘন্টাখানেক রাস্তায় সকল গাড়ি  ব্লক হয়ে যায়।

রাস্তা পার হওয়ার আর কোন উপায় থাকে না। 

তখন আমি তাকে বলে দেখলাম যে ভাই আপনি নেমে ওপার থেকে আরেকটা গাড়িতে চলে যান।

তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ঘাটে চলে যেতে পারবেন। 

বিভিন্ন রকম কথা দিয়ে আমাকে ভুলে রেখেছিল যাতে আমি তার সাথে ছুটে যাই। 

কারন সে অন্য গাড়িতে যেতে হলে তার নগদ টাকা দিয়েই যেতে হবে। 

তাই সে  গাড়ি পরিবর্তন করতে মনের দিক দিয়ে নারাজ ছিল।

তারপরও আমার ঘাঁটে যেতে ইচ্ছা হলো না কারণ অনেক রাস্তা জ্যাম ছিল।

লোকটার কথা আমি যাই আমি আবার চলে গেলাম ঘাটের উদ্দেশ্যে জ্যাম এড়িয়ে বিভিন্ন অলিগলি দিয়ে।

আমি তাকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করি যে ভাইয়া আপনার কাছে কি খরচা টাকা আছে না হলে তেল নেওয়ার জন্য পাম্পে ঢুকি। 

বলতে বলতে আমি পাম্পে চলে গেলাম। 

সে তখন চিন্তিত হয়ে পড়লো যে এখন তো আমার ভাড়ার টাকাটা দিয়ে দিতে হবে। 

সে আবার ছলনার আশ্রয় নিলো ভাই ওখানে গেলে ঘাটে গেলে খরচা করতে পারব তাড়াতাড়ি চলে।

কারন আমার লঞ্চ ছেড়ে দিবে। 

ইতিমধ্যে জ্যামের কারণে তার নাকি  বাড়ির কাছে যে লঞ্চটি ঘাটে জেত 

সেই লঞ্চটি নাকি  তার চলে যাওয়ার সময় পার হয়ে গেছে।

ঘাটে আসতেই সে লাফ দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল।

কি বলল ভাই আমার কাছে এক হাজার টাকার নোট আপনার কাছে কি খুব আছে। 

আমি বললাম না ভাই আমার কাছে ১০০০ টাকা নোট করছো হবে না। 

আমি তাকে বললাম পম্পে থেকে খুচরা করলেই তো ভালো হতো। 

সে আমাকে বলল না এখান থেকে ঘুরছে করতে পারব দাঁড়ান। 

নেমে হঠাৎ হকারের কাছে জিজ্ঞেস করে টাকা না বের  করে ভাই এক হাজার টাকা খুব হবে।

অকার তখন তাকে বলে না 1000 টাকা খরচ হবে না। 

তারপরে এক আজকের রস বিক্রি করে হকার এর কাছে বলে ভাই ১০০০ টাকা খরচ হবে।

সে বলে না ভাই আমার কাছে এক হাজার টাকা খুব সহজে হবেন। 

ইতিমধ্যে আমি একটু পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি সে আমার চোখের আড়াল হচ্ছে। 

আমার তখন তাকে পুরোপুরি সন্দেহ হয়ে গেল যে সে যা যা ভেবেছিলাম তাই সে লোক ।

সে চোখের আড়াল হতে আমি তার পিছনে পিছনে ছুটি। 

দেখি সে আস্তে আস্তে আমাকে ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ।

গাড়ির ভাড়া না দিয়ে। 

তখন মনে হচ্ছিল তাকে একটু দৌরে  ধরে কিছু বলি।

পড়ে চিন্তা করলাম যে হয়তো আমার ভারার টাকা না  দিয়ে রাত্রে খাবার খেতে পারবে।

তাই আমি আর তার পিছন নিলাম না তা কে  কিছু জিজ্ঞেস করলাম না তাকে ছেড়ে দিলাম তার পথে।

তারপরও আমি তার জন্য গাড়িতে কিছু সময়।  অপেক্ষা করতেছিলাম দেখি সে ফেরত আসে কিনা। 

ব্যাপারটি সেখানের লোক খেয়াল করে ফেলল।

ভাই আপনার টাকা মেরে দিয়েছে না। 

আমার এই ব্যাপারটি যে দুই হকারকে টাকা ভাঙতির জন্য জিজ্ঞাস করেছিল। 

সেই হকার দুজনেই আমাকে বলল ভাই ওটা চোর আর আসবে না ।

দুঃখের বিষয় হল যে আমার কাছ থেকে যে জিনিসটি নিয়ে গেছে সে জিনিসটা দামে  কম হলেও আমার খুবই দরকার গাড়ির জন্য।

তাই আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম যে আত্ম-মানবতা থাকলে সে আমার মালটি ফিরিয়ে দিয়ে যাবে। 

কিন্তু সে আর ফিরে আসলো না। 

এখানেই তার কত ধরনের ভুল হল সেটাই আমি বিশ্লেষণ করলাম। 

কারণ তাকে গাড়িতে বসে বলেছিলাম যে আমি ও ঘাটে যাব। 

সে চাইলে আমাকে বলতেই পারতো ভাই আমার তো দেরি হয়ে গেছে তাই আমার কাছে যে টাকা আছে তাতে বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারবো না এ টাকা  দিয়ে।

আমার প্রথমেই ইচ্ছে ছিল তাকে নিয়ে ঘাটে যায় দুজনে। 

সত্যিকার অর্থে সেই চোর ছিল না। 

এর কারণ হলো সে চাইলে আমার মানিকাকে বা পিছনে পকেটে হাত দিতে পারে। 

সে শুধু পালিয়ে গেল এই জন্য যে তার যে টাকা ছিল সেই টাকা দিয়ে তার বাড়ি ফিরতে কষ্ট হবে এই জন্য সে আমাকে টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেল। 

দূর দূরান্তে যাতায়াতের সময় যে মানুষের টাকার  কি প্রয়োজন তা আমি বা আপনি এই জাতীয় পরীক্ষা না দেখলে বুঝতে পারবেন না।

বাসায় এসে লোকটির কথা খুবই মনে পড়ে গেল যে হায় লোকটি যদি বাড়িতে না পৌছা পারে ওই টাকায় তাহলে তো আমার নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগবে।

সে আমাকে টাকা না দিয়ে চলে গেল ও  আমি ওই টাকার উপকার পেয়ে গেছি।

কারন আমার যে সময় ঘাটে  যাওয়ার দরকার মাল কেনার জন্য। 

আমি ভেবেছিলাম তা দোকানপাট বন্ধ হয় গেছে।

আমি পরে মার্কেটে গিয়ে দেখি যে দোকান এখনো খোলা। 

না হলে তো আমার পরদিন আবার ঘাটে চলে আসতে হতো। 

তাহলে তো আমার দুবারের ভাড়া চারবার লাগতো। 

একি মনে হয় একজনকে উপকারের কারণেই হয়েছে। 

আপনি যদি কাউকে এভাবে সেক্রিফাইস করতে পারেন। 

তাহলে দেখবেন আপনি অন্য দিক দিয়ে উপকৃত হয়ে গেছেন।

বাসা থেকে ঘাট পর্যন্ত যেতে আমি ওই লোকটিকে সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ ছিলাম।

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Shafin pro 4 days ago

    ঘটনাটি আজকে আমার সাথে হয়েছিল সত্য ঘটনা তাই আমিও স্থান কাল পাত্র কোনটাই উল্লেখ করিনি এজন্য দুঃখিত ধন্যবাদ