Posts

গল্প

পিচ্চি বউ পর্ব:- ০৮

December 17, 2025

Sayful Islam

Original Author সাইফুল রাজ

Translated by পার্ঠ:-০৮

23
View

#পিচ্চি_বউ ( পর্ব :- ০৮)
writer:- #সাইফুল_রাজ

ভুল বোঝাবুঝির শুরু

:- ভোরের আলো ফোটার আগেই প্রিয়া জেগে উঠল।
:- আজ তার মনটা অদ্ভুতভাবে অস্থির।
:- গত রাতের কথাগুলো বারবার মনে পড়ছে।
:- “আজ তুমি ভালো করেছ”—রাজের সেই কথাটা।
:- ছোট্ট বাক্য, কিন্তু গভীর প্রভাব।
:- প্রিয়া চুল বেঁধে ধীরে ধীরে ঘর থেকে বের হলো।
:- রান্নাঘরে ঢুকতেই দেখল, শাশুড়ি আগেই এসে গেছেন।
:- “আজ দেরি করছ কেন?”
:- প্রিয়া মাথা নিচু করে বলল, “এই তো আসছি মা।”
:- সকালবেলার কাজ শুরু হলো।
:- প্রিয়া মন দিয়ে সব করছে।
:- একটু পর রাজ নামল নিচে।
:- সে প্রিয়ার দিকে তাকাল।
:- চোখাচোখি হতেই প্রিয়া দ্রুত দৃষ্টি নামিয়ে নিল।
:- রাজ বুঝতে পারল—মেয়েটা লাজুক।
:- চা বানিয়ে টেবিলে রাখল প্রিয়া।
:- রাজ এক চুমুক খেয়ে বলল, “আজ চা ভালো হয়েছে।”
:- শাশুড়ির চোখ কুঁচকে গেল।
:- “কালও তো ভালোই হয়েছিল,” তিনি বললেন।
:- কথার ভেতর চাপা অসন্তোষ।
:- প্রিয়া চুপ।
:- রাজও আর কিছু বলল না।
:- সকালটা শান্তিতেই কাটল।
:- কিন্তু দুপুরের দিকে হঠাৎ ঝামেলা শুরু হলো।
:- শাশুড়ির আলমারি থেকে একটা সোনার চেইন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
:- তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন।
:- “এই বাড়িতে নতুন কে এসেছে?”
:- প্রশ্নটা যেন বাতাসে ছুড়ে দেওয়া তীর।
:- প্রিয়ার বুক ধক করে উঠল।
:- রিমি অবাক হয়ে বলল, “মা, এমন কথা কেন?”
:- শাশুড়ি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালেন প্রিয়ার দিকে।
:- “আমি কারো নাম নেইনি।”
:- কিন্তু দৃষ্টিটাই যথেষ্ট।
:- প্রিয়া কাঁপা গলায় বলল, “আমি কিছুই নিইনি মা।”
:- শাশুড়ি ঠান্ডা গলায় বললেন, “দেখা যাক।”
:- রাজ ঘটনাটা শুনে ছুটে এল।
:- “কি হয়েছে?”
:- শাশুড়ি বললেন, “আমার চেইনটা পাচ্ছি না।”
:- রাজ প্রিয়ার দিকে তাকাল।
:- সেই দৃষ্টিতে সন্দেহ নেই, কিন্তু নিশ্চিততাও নেই।
:- প্রিয়ার চোখে পানি জমে উঠল।
:- “আমি শপথ করে বলছি…”
:- শাশুড়ি বললেন, “শপথে কি হয়?”
:- রাজ চুপ করে রইল।
:- এই চুপটাই প্রিয়ার হৃদয় ভেঙে দিল।
:- রিমি বলল, “মা, আগে ভালো করে খুঁজে দেখি।”
:- সবাই ঘর তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগল।
:- প্রিয়া এক কোণে দাঁড়িয়ে।
:- মনে হচ্ছে পুরো পৃথিবী তার বিরুদ্ধে।
:- কিছুক্ষণ পর চেইনটা পাওয়া গেল।
:- শাশুড়ির পুরোনো ব্যাগের ভেতর।
:- সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
:- কিন্তু শাশুড়ি কিছু বললেন না।
:- প্রিয়ার দিকে তাকিয়েও না।
:- প্রিয়া মনে মনে ভেঙে পড়ল।
:- রাজ ধীরে এসে বলল, “তুমি ঠিক আছ?”
:- প্রিয়া চোখ তুলে তাকাল।
:- “আপনি কি একবারও ভাবলেন—আমি নির্দোষ?”
:- প্রশ্নটা তীরের মতো বুকে বিঁধল।
:- রাজ বলল, “আমি কিছু বলিনি তো।”
:- প্রিয়া শান্ত, কিন্তু কণ্ঠ কাঁপছে।
:- “চুপ থাকাটাও অনেক কিছু বলে দেয়।”
:- রাজ নির্বাক।
:- প্রিয়া ঘরে চলে গেল।
:- দরজা বন্ধ করে প্রথমবার সে নিঃশব্দে কাঁদল।
:- অপমানের কষ্টে নয়, অবিশ্বাসের যন্ত্রণায়।
:- বিকেলে রাজ দরজায় এসে দাঁড়াল।
:- “প্রিয়া…”
:- ভেতর থেকে কোনো উত্তর এল না।
:- রাজ ধীরে বলল, “আমি দুঃখিত।”
:- প্রিয়া দরজা খুলল না।
:- “আপনার দুঃখিত বলার দরকার ছিল তখন।”
:- রাজ বুঝতে পারল—
:- সে আজ বড় ভুল করেছে।
:- রাতে খাবার টেবিলে প্রিয়া আসেনি।
:- শাশুড়ি বললেন, “অভিমান করছে।”
:- রাজ চুপ করে খাবার খেল।
:- কিন্তু খাবারের স্বাদ পেল না।
:- ঘরে ফিরে দেখল, প্রিয়া জানালার পাশে বসে।
:- চোখ শুকনো, মুখ শক্ত।
:- রাজ বলল, “আমি বিশ্বাস করি তোমাকে।”
:- প্রিয়া ধীরে বলল, “বিশ্বাস দেখাতে হয়, বলতে নয়।”
:- রাজের মাথা নিচু হয়ে গেল।
:- সে প্রথমবার বুঝল—
:- এই মেয়েটার আত্মসম্মান কত গভীর।
:- রাতে দুজন শুয়ে পড়ল।
:- মাঝখানে আজ দূরত্ব আরও বেড়েছে।
:- প্রিয়া মুখ ফিরিয়ে শুয়ে আছে।
:- রাজ ঘুমাতে পারছে না।
:- সে ভাবছে—
:- “আমি কি ধীরে ধীরে সব হারাচ্ছি?”
:- প্রিয়া চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলল—
:- “আমি দুর্বল নই… কিন্তু আমি ক্লান্ত।”
:- এই ভুল বোঝাবুঝিই তাদের সম্পর্কের সামনে তুলে দিল নতুন দেয়াল।
:- ভালোবাসার পথে শুরু হলো প্রথম বড় পরীক্ষা।

---

Be continue… ❤️❤️

Comments

    Please login to post comment. Login