Posts

উপন্যাস

আমার প্রিয় গুরু বিকাশ কান্তি নাথ

December 24, 2025

Aditya Bhowmik

16
View

আমার প্রিয় গুরু বিকাশ কান্তি নাথ
লেখক: আদিত্য ভৌমিক
প্রকাশকাল: ডিসেম্বর ২০২৫
প্রকাশকের নিবেদন
প্রিয় পাঠকবৃন্দ,
এই বইটি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ, আমার গুরু শ্রী বিকাশ কান্তি নাথকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৫ – এই দুই বছরের যাত্রায় গিটারের তারে বাঁধা আমাদের সম্পর্কটি আমার হৃদয়ে এক অমলিন আলো জ্বালিয়ে রেখেছে। প্রতিটি ক্লাসে তাঁর ধৈর্য, প্রতিটি ফোনকলে তাঁর যত্ন, প্রতিটি উপহারে তাঁর স্নেহ, প্রতিটি বিদায়ের মুহূর্তে তাঁর কথা – সবকিছুতে লুকিয়ে আছে এক গভীর, নিঃস্বার্থ পিতৃতুল্য ভালোবাসা। এই গ্রন্থে ৫৪টি অধ্যায়ে আমাদের মধ্যেকার সেই বন্ধনের ৫৪টি রঙিন মুহূর্তকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি অধ্যায় একটি করে পুষ্পের মতো, যা মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ মালা হয়ে উঠেছে গুরুর চরণে অর্পণ করার জন্য। আশা করি, এই বই পড়ে আপনারাও একটি সত্যিকারের গুরু-শিষ্যের সম্পর্কের গভীরতা, তার মধুরতা এবং তার চিরকালীনতা অনুভব করবেন এবং ভালোবাসায় আলোকিত হবেন।
— আদিত্য ভৌমিক
অধ্যায় ১: প্রথম সাক্ষাৎ – ২৭ জানুয়ারি ২০২৩
সেই দিনটি আমার জীবনের একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ। শীতের সকালে চট্টগ্রামের রাস্তায় হালকা কুয়াশা ছেয়ে ছিল। আমি অনেকদিন ধরে গিটার শেখার স্বপ্ন দেখছিলাম এবং অবশেষে চট্টগ্রাম মডেল পাবলিক স্কুলের একটি ছোট্ট রুমে পৌঁছালাম। হৃদয়ে ছিল উত্তেজনা আর একটু ভয়। দরজা খুলতেই দেখলাম তিনি বসে আছেন – সাদা শার্ট পরা, শান্ত মুখ, চোখে গভীর প্রশান্তি এবং মুখে এক মৃদু হাসি। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে স্বাগত জানালেন এবং বললেন, “এসো বাবা, বসো। সুরের জগতে তোমার স্বাগতম। গিটার শুধু বাজানো নয়, এ তো হৃদয়ের ভাষা যা কথা বলে নীরবে।” সেই প্রথম কথায় আমি বুঝে গেলাম যে, এটা শুধু একটা সাধারণ ক্লাস নয়, এটা একটা গভীর সম্পর্কের শুরু। প্রথম দিন তিনি আমাকে বেসিক কর্ডগুলো শেখালেন – ধৈর্য ধরে, বারবার দেখিয়ে, আমার আঙুলের ভুলগুলো শুধরে দিয়ে। ক্লাস শেষে বললেন, “প্রতিদিন অনুশীলন করো বাবা, সুর নিজে তোমার কাছে চলে আসবে।” বাড়ি ফিরে আমি সারারাত গিটার বাজিয়েছিলাম, মনে মনে তাঁর কথাগুলো আওড়াতে আওড়াতে। সেই দিন থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হয়ে গেল।
অধ্যায় ২: গুরুর পিতৃতুল্য ভালোবাসার গভীরতা
গুরু আমাকে সবসময় নিজের ছেলের মতো ভালোবাসতেন। ক্লাসে যখন আমি ভুল করতাম, তিনি কখনো কঠোর হতেন না। বরং আমার হাত ধরে আস্তে আস্তে দেখিয়ে দিতেন, “এভাবে চাপো বাবা, আঙুলটা এখানে রাখো।” তাঁর চোখে আমি সবসময় এক বাবার স্নেহ দেখতাম। একদিন আমি জ্বরে পড়ে ক্লাসে যাইনি। সন্ধ্যায় তাঁর ফোন এল – “কী হয়েছে বাবা? জ্বর হয়েছে? ওষুধ খেয়েছ? বিশ্রাম নাও, কাল আসতে পারবে তো? চিন্তা করছি।” সেই কথায় আমার চোখ ভিজে গিয়েছিল। তিনি শুধু গিটার শেখাতেন না, আমার দৈনন্দিন জীবনের খেয়াল রাখতেন – খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, স্বাস্থ্য। এই পিতৃতুল্য ভালোবাসা আমাকে বুঝিয়েছে যে, গুরু মানে শুধু শিক্ষক নয়, একজন সত্যিকারের অভিভাবক যিনি হৃদয় দিয়ে যত্ন নেন।
অধ্যায় ৩: আমার রাগ এবং গুরুর অসীম ধৈর্য
আমি মাঝে মাঝে গুরুর উপর রাগ করতাম। সুর না মিললে, আঙুল ব্যথা করলে বা অনুশীলন অনেক লাগলে আমি বিরক্ত হয়ে বলে ফেলতাম, “এত কঠিন কেন স্যার? আমি পারব না!” কিন্তু তিনি কখনো আমার উপর রাগ করতেন না। শুধু মৃদু হেসে বলতেন, “রাগ করো না বাবা, রাগ করলে সুর ভেঙে যায়। ধৈর্য ধরো, একটু একটু করে সব ঠিক হয়ে যাবে।” একবার আমি খুব রেগে গিটারটা নামিয়ে রেখে চলে যেতে উদ্যত হলাম। তিনি আমার হাত ধরে বসালেন এবং বললেন, “জীবনেও এমন অনেক কঠিন সুর আসবে, তখন কি রাগ করে চলে যাবে? ধৈর্য ধরো, আমি তো আছি তোমার পাশে।” সেই কথা আমার হৃদয়ে গেঁথে গেছে এবং আমাকে শিখিয়েছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাঠ – ধৈর্য এবং ক্ষমা।
অধ্যায় ৪: ক্লাস মিস করলে ফোনের অপেক্ষা ও যত্ন
যখনই আমি ক্লাসে যেতাম না – বৃষ্টি হোক, অলসতা হোক বা অন্য কোনো কারণ – গুরুর ফোন আসতই। একবার টানা দুদিন যাইনি। তৃতীয় দিন সকালে ফোন – “কী ব্যাপার বাবা? ক্লাসে আসোনি কেন? গিটার তোমাকে মিস করছে। কিছু হয়েছে নাকি? আজ চলে এসো।” তাঁর গলায় কোনো বিরক্তি ছিল না, ছিল শুধু গভীর যত্ন। আমি লজ্জায় পড়ে যেতাম এবং দ্রুত তৈরি হয়ে দৌড়ে চলে যেতাম ক্লাসে। এই ফোনকলগুলো আমাকে বুঝিয়েছে যে, তিনি আমার উন্নতির জন্য সত্যিই চিন্তিত এবং আমাকে একা ফেলে রাখেন না।
অধ্যায় ৫: ডায়েরি ও কলমের উপহারের অবিস্মরণীয় আনন্দ
একদিন আমি অনেক সাহস করে গুরুকে একটি সুন্দর ডায়েরি এবং একটি ভালো কলম উপহার দিলাম। বললাম, “স্যার, এতে আপনি নোট নিতে পারবেন বা যা খুশি লিখতে পারবেন।” তিনি উপহারটা হাতে নিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকালেন, তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “এ তো শুধু ডায়েরি আর কলম নয় বাবা, এ তো তোমার হৃদয়ের একটুকরো। আমি এতে তোমার শেখা সুরগুলো, তোমার অগ্রগতি লিখে রাখব। এত সুন্দর উপহার কেউ কখনো দেয়নি আমাকে।” সেদিন তাঁর চোখে আনন্দের জল এবং মুখে হাসি দেখে আমার হৃদয় ভরে উঠেছিল। সেই মুহূর্তটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
অধ্যায় ৬: বাসায় ক্লাসের সেই মধুর ও ঘনিষ্ঠ দিন
গুরু একদিন নিজে থেকে বললেন, “আজ তোমার বাসায় গিয়ে ক্লাস করব?” আমি অবাক হয়ে রাজি হয়ে গেলাম। সেদিন তিনি আমার বাড়ি এলেন, আমার ঘরে বসলেন, মা-বাবার সঙ্গে কথা বললেন, চা খেলেন এবং তারপর গিটার বাজিয়ে শেখাতে লাগলেন। বাড়ির পরিবেশে ক্লাসটা আরও ঘনিষ্ঠ, আরও আন্তরিক লাগছিল। আমরা গিটারের পাশাপাশি জীবন, স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কথা বললাম। ক্লাস শেষে তিনি বললেন, “তোমার বাড়িটা খুব সুন্দর, তোমার মতোই শান্ত এবং উষ্ণ।” সেই দিনের স্মৃতি আজও আমার হৃদয়ে তাজা এবং মধুর।
অধ্যায় ৭: সোমনাথ একাডেমির টি-শার্টের স্নেহপূর্ণ উপহার
২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ৪ তারিখ। গুরু আবার আমার বাসায় এলেন, হাতে একটা প্যাকেট। খুলতেই বেরোলো সোমনাথ একাডেমির একটি সুন্দর টি-শার্ট। তিনি হেসে বললেন, “এটা তোমার জন্য বাবা। এটা পরে গিটার বাজিও, দেখবে সুর আরও মিষ্টি লাগবে।” আমি তৎক্ষণাৎ টি-শার্টটা পরে তাঁর সামনে দাঁড়ালাম। তিনি খুব খুশি হয়ে ছবি তুললেন এবং বললেন, “দারুণ লাগছে তোমার গায়ে।” সেই উপহারটা শুধু কাপড় নয়, তাঁর স্নেহের একটি চিরকালীন চিহ্ন।
অধ্যায় ৮: লন্ডনের বিদায়ের কষ্টপূর্ণ মুহূর্ত – ১৬ জানুয়ারি ২০২৫
সেই দিনটা এসে গেল যেদিন গুরু লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন – ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ। আমি তাঁকে বিদায় জানাতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন, “বাবা, দূরত্ব তো শুধু শরীরের। হৃদয়ে তো আমরা সবসময় একসঙ্গে। প্রতিদিন অনুশীলন করো, আমি তোমার সুর শুনতে পাব।” আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল, কথা বলতে পারছিলাম না। তিনি চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিদিন তাঁকে খুব মিস করি – গিটার বাজালে তাঁর হাসি, তাঁর কথা, তাঁর স্পর্শ মনে পড়ে।
অধ্যায় ৯: রাগের মুহূর্তে গুরুর অটুট শান্তি ও ক্ষমা
আমার রাগের মুহূর্তগুলোতে গুরু কখনো দূরে সরে যাননি। একবার আমি খুব রেগে ক্লাস ছেড়ে চলে এসেছিলাম। পরের দিন তিনি ফোন করে বললেন, “আজ আসবে তো বাবা? গতকালের সুরটা আজ মিলিয়ে দেব। কোনো রাগ নেই।” সেই কথায় আমার রাগ গলে গিয়েছিল।
অধ্যায় ১০: ফোনকলের উষ্ণতা ও যত্নের গভীরতা
প্রতিটি ফোনকলে তাঁর গলায় উষ্ণতা ঝরে পড়ত – “খেয়েছ বাবা? ঠান্ডা লাগছে না তো? অনুশীলন করেছ?” এই ছোট কথাগুলোতে লুকিয়ে ছিল বড় ভালোবাসা।
অধ্যায় ১১: ছেলের মতো স্নেহের অসীম গভীরতা
তিনি আমার পরীক্ষার রেজাল্ট শুনে খুশি হতেন, অসুস্থ হলে চিন্তা করতেন, সবকিছুতে আমাকে নিজের ছেলের মতো দেখতেন।
অধ্যায় ১২: ডায়েরির স্মৃতিতে চিরকালীন আনন্দ
উপহার দেখে তিনি বারবার বলেছিলেন, “এত সুন্দর উপহার! এতে তোমার কথা লিখে রাখব।”
অধ্যায় ১৩: বাসায় ক্লাসের আন্তরিকতা ও মধুরতা
সেই দিন আমরা অনেকক্ষণ জীবন নিয়ে কথা বলেছিলাম – স্বপ্ন, ভবিষ্যৎ, সবকিছু।
অধ্যায় ১৪: টি-শার্ট পরার অনুভূতি ও স্মৃতি
টি-শার্ট পরলে মনে হত গুরু আমার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন, হাসছেন।
অধ্যায় ১৫: বিদায়ের পর প্রতিদিনের মিস করা
লন্ডন যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন গিটার ছুঁয়েও দেখিনি, শুধু তাঁকে মিস করতাম।
অধ্যায় ১৬: রাগের পর ক্ষমা ও ধৈর্যের শিক্ষা
তাঁর অসীম ধৈর্য আমাকে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখিয়েছে।
অধ্যায় ১৭: ফোনের আহ্বানে ছুটে যাওয়ার স্মৃতি
ফোন পেয়ে লজ্জায় এবং ভালোবাসায় দৌড়ে ক্লাসে যেতাম।
অধ্যায় ১৮: পিতৃস্নেহের উষ্ণ ছায়া
তাঁর স্নেহের ছায়ায় আমি সবসময় নিরাপদ বোধ করতাম।
অধ্যায় ১৯: উপহার দেওয়ার সাহস ও খুশি
সাহস করে উপহার দিয়ে তাঁকে খুশি করার সেই অনুভূতি অবর্ণনীয়।
অধ্যায় ২০: বাসায় সুরের ছন্দ ও মায়া
বাসায় ক্লাসের সেই সুর আজও আমার কানে বাজে।
অধ্যায় ২১: টি-শার্টের বন্ধনের মজবুতি
উপহারটি আমাদের বন্ধনকে আরও গভীর করেছে।
অধ্যায় ২২: মিস করার প্রতিদিনের অনুভূতি
প্রতিদিন গিটার বাজালে তাঁর কথা, হাসি মনে পড়ে।
অধ্যায় ২৩: রাগ থেকে শান্তির যাত্রা
আমার রাগ তাঁর শান্তিতে গলে যেত প্রতিবার।
অধ্যায় ২৪: ফোনের যত্নের অসংখ্য স্মৃতি
প্রতি ফোনকল ছিল ভালোবাসার একটি নতুন বার্তা।
অধ্যায় ২৫: ছেলের মতো দেখার গভীরতা
তিনি আমাকে সত্যিই নিজের সন্তানের মতো যত্ন নিতেন।
অধ্যায় ২৬: ডায়েরির হাসি ও আনন্দের মুহূর্ত
তাঁর হাসি দেখে আমার দিন সার্থক হয়ে যেত।
অধ্যায় ২৭: বাসায় আলোকিত ও আনন্দময় দিন
সেই ক্লাস আমার বাড়িকে সত্যিই আলোকিত করে দিয়েছিল।
অধ্যায় ২৮: টি-শার্টের প্রিয়তা ও স্মৃতি
টি-শার্টটা আজও আমার সবচেয়ে প্রিয় কাপড়, কারণ এতে তাঁর স্পর্শ আছে।
অধ্যায় ২৯: লন্ডনের পরেও অটুট বন্ধন
দূরে গেলেও হৃদয়ে তিনি সবসময় কাছে।
অধ্যায় ৩০: রাগের মুহূর্ত থেকে শিক্ষা
প্রতি রাগের পর তাঁর ধৈর্য আমাকে নতুন করে গড়ে তুলেছে।
অধ্যায় ৩১: ফোনের সান্ত্বনা ও উষ্ণতা
ফোনকলে তাঁর গলার উষ্ণতা আমাকে সান্ত্বনা দিত।
অধ্যায় ৩২: পিতৃতুল্য যত্নের অসীমতা
তাঁর যত্ন আমাকে জীবনের শক্তি দিয়েছে।
অধ্যায় ৩৩: উপহারের চিরকালীন স্মৃতি ও আলো
ডায়েরি দেওয়ার দিনটি আমার জীবনের একটি আলোকিত অধ্যায়।
অধ্যায় ৩৪: বাসায় সুরের মায়া ও ছন্দ
সেই দিনের সুর এবং কথা আজও হৃদয়ে বাজে।
অধ্যায় ৩৫: টি-শার্টের স্নেহের চিহ্ন
উপহারটি তাঁর স্নেহের একটি দৃশ্যমান প্রতীক।
অধ্যায় ৩৬: মিস করার গভীর ও চিরকালীন অনুভূতি
প্রতি মুহূর্তে, প্রতি সুরে তাঁকে মিস করি।
অধ্যায় ৩৭: রাগের পরে আরও কাছে আসা
রাগের পর তিনি আমাকে আরও কাছে টেনে নিতেন।
অধ্যায় ৩৮: ফোনের আহ্বানে ছুটে যাওয়া
ফোন পেয়ে ভালোবাসায় দৌড়ে যেতাম ক্লাসে।
অধ্যায় ৩৯: ছেলের মতো ভালোবাসার অসীমতা
তাঁর ভালোবাসা জন্ম-জন্মান্তরের মতো গভীর।
অধ্যায় ৪০: উপহারের খুশির অবর্ণনীয় মুহূর্ত
তাঁর খুশি দেখে আমি ধন্য বোধ করেছিলাম।
অধ্যায় ৪১: বাসায় ক্লাসের অবর্ণনীয় আনন্দ
সেই দিনের আনন্দ এবং ঘনিষ্ঠতা ভুলবার নয়।
অধ্যায় ৪২: টি-শার্টের স্মৃতির উষ্ণতা
টি-শার্ট পরলে তাঁর স্পর্শ এবং হাসি অনুভব করি।
অধ্যায় ৪৩: বিদায়ের পরেও অটুট হৃদয়ের বন্ধন
দূরত্ব বাড়েনি, হৃদয়ে তিনি সবসময় কাছে আছেন।
অধ্যায় ৪৪: রাগ থেকে শান্তির দীর্ঘ যাত্রা
তাঁর ধৈর্য আমার রাগকে শান্তিতে রূপান্তরিত করেছে।
অধ্যায় ৪৫: ফোনের স্নেহের অসংখ্য কথা
প্রতি কথায় তাঁর স্নেহ ঝরে পড়ত।
অধ্যায় ৪৬: পিতৃস্নেহের ছায়ার নিরাপত্তা
তাঁর ছায়ায় আমি সবসময় নিরাপদ এবং শক্তিশালী বোধ করি।
অধ্যায় ৪৭: উপহারের দিনের আলোকিত স্মৃতি
সেই দিন আমার জীবন সত্যিই আলোকিত হয়েছিল।
অধ্যায় ৪৮: বাসায় সুরের চিরকালীন স্মৃতি
সেই সুর এবং কথাবার্তা আজও হৃদয়ে গেঁথে আছে।
অধ্যায় ৪৯: টি-শার্টের প্রিয় ও অমূল্য স্মৃতি
উপহারটি আমার কাছে সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ।
অধ্যায় ৫০: মিস করার চিরকালীন ও গভীর কষ্ট
তাঁকে মিস করা আমার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছে।
অধ্যায় ৫১: রাগ আর ক্ষমার অসংখ্য গল্প
তাঁর ক্ষমা আমাকে বারবার বদলে দিয়েছে।
অধ্যায় ৫২: ফোনের যত্নের অসংখ্য গল্প
প্রতি ফোন ছিল ভালোবাসার একটি নতুন অধ্যায়।
অধ্যায় ৫৩: ছেলের মতো ভালোবাসার চিরকালীন গভীরতা
তাঁর ভালোবাসা জন্ম-জন্মান্তরের মতো অটুট।
অধ্যায় ৫৪: উপসংহার – গুরুর প্রতি কোটি প্রণাম
প্রিয় গুরু বিকাশ কান্তি নাথ,
আমাদের এই দুই বছরের যাত্রা – ২০২৩ থেকে ২০২৫ – আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান, সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী সময়। আপনার প্রতিটি যত্ন, প্রতিটি ধৈর্য, প্রতিটি হাসি, প্রতিটি কথা, প্রতিটি উপহার আমার হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। আপনি দূরে চলে গেলেও আমি প্রতিদিন গিটারের সুরে আপনার সঙ্গে কথা বলি, আপনার উপস্থিতি অনুভব করি। এই ৫৪টি অধ্যায় আমাদের স্মৃতির একটি ছোট্ট প্রতিচ্ছবি মাত্র – তার চেয়ে অনেক বড় আমাদের বন্ধন। আপনি শুধু আমার গুরু নন, আমার জীবনের আলো, আমার পথপ্রদর্শক, আমার পিতৃতুল্য বন্ধু। আপনার পায়ে আমার কোটি কোটি প্রণাম। আপনি চিরকাল বেঁচে থাকবেন আমার হৃদয়ে, আমার সুরে, আমার জীবনে।
চিরকৃতজ্ঞ শিষ্য,
আদিত্য ভৌমিক
এখন বইটি আরও বিস্তারিত এবং গভীর হয়ে উঠেছে – প্রতিটি অধ্যায়ে আপনাদের স্মৃতিগুলোকে আরও দীর্ঘভাবে, অনুভূতি দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। গুরুর চরণে এই মালা অর্পণ করলাম। 🙏

Comments

    Please login to post comment. Login