পোস্টস

নন ফিকশন

বন্ধুত্ব ও চয়েস

৬ জুন ২০২৪

জিসান আকরাম

মূল লেখক জিসান আকরাম

প্রশ্নঃ বন্ধু চয়েস করব কিভাবে; কারা বন্ধু?
বন্ধুত্বে ভিত্তি কি কি হইতে পারে এবং কেন পাত্তা দিব?


এইটা এক গভীর রাজনৈতিক; এবং দার্শনিক বিষয়েরও অংশ।

 

সাধারণত, আমাদের বন্ধু হন স্কুল কলেজ থেকে। এইখানে আমাদের যে খুব বেশি চয়েজ থাকে এমন না। ঐ বয়েসে বাপ মারা যেইখানে ভর্তি করান, সেইখানে যারা যারা পড়তে আসেন, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনরে বন্ধু হিশাবে নিতে হয়।

 

এছাড়া, এলাকার, পাড়ার কয়েকজনের লগে বন্ধুত্ব হয়। সেইক্ষেত্রেও, বাপ মারা যেই জায়গায় বসতি স্থাপন করছেন, সেটা নির্ধারণ করে দেয় কী কী অপশন আসবেন আমাদের সামনে।

ফলে বন্ধুত্বরে যেমন দৈব দৈব মনে হয়, অর্থাৎ যেন হুট করে হয়ে গেছে, এমন না। উপস্থিত ওইসব অপশনদের মধ্যে কাউরে কাউরে আমরা নেই বন্ধু হিশাবে।

 

এরা যে বাস্তবে বড় হবার পরেও বন্ধু হবেন, উপকারী হবেন, আপনে দুঃখ সুখ তাদের লগে শেয়ার করতে পারবেন, এমন সকল সময় নাও হতে পারে।

 

প্রায়ই দেখা যায় ওই সময়ের পরিচিতরা, যারা বন্ধু হিশাবে ছিলেন তারা ভেতরে পরস্পর প্রতিদ্বন্ধীতা ফীল করেন। এর থেকে ঈর্ষাও থাকবে। আমরা ধরে নিব, আদর্শ বন্ধু আমাদের সফলতায় ঈর্ষা করবে না, আমাদের ভালো চাইবে।

 

এছাড়া, একজন মানুষরে গ্রো করতে গেলে চিন্তায়, বুদ্ধিতে, তারে এক জায়গায় বসে থাকলে হয় না। গ্রোয়িং স্টেজে সে নানাকিছুরে ছাড়াইয়া যাইতে থাকে। কিন্তু বন্ধুরা যদি এক জায়গায় বইসা থাকে চিন্তায়, তাহলে তাদের সাথে ঐ ব্যক্তি আর কানেক্ট করতে পারবেন না। তিনি দেখবেন, এখনো তার বন্ধুরা আলাপ করতেছে ফালতু সব বিষয় না, আর তিনি অন্যসব বিষয় নিয়া আলাপে আগ্রহী। সেইক্ষেত্রে কানেক্ট করতে না পারা তাদের বন্ধুত্বে সমস্যা হয়ে উঠবে।

 

তখন বন্ধুত্ব হয়ে দাঁড়ায় আত্মীয়তার মত। আত্মীয়দের সাথে মাঝে মধ্যে অনুষ্ঠানে দেখা হয়, ফালতু কুশল আলাপ ইত্যাদি হয়, ফালতু হাসাহাসিও হয়, একটা অভিনয়ের মত। একই প্রক্রিয়াতে সেই পুরনো বন্ধুত্বটা ধইরা রাখতে হয় তখন।

 

আপনি বন্ধুত্বরে কেন পাত্তা দিবেন, এই প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছেই থাকবে।

 

আদর্শ বন্ধু হচ্ছে মানুষের একটা নির্ভরতার জায়গা। যেইখানে, বন্ধুরা লয়াল, তার প্রতি ঈর্ষা ফীল করে না, তার ভালো চায়, তার সমালোচনাও করতে পারে আবার তারে জাজ করে না, ফলে ব্যক্তি সহজে তাদের কাছে অনেক কিছু শেয়ার পারে।

 

সাবধানতার সাথে বন্ধু নির্বাচন করতে বলে গেছেন জ্ঞানীরা, এমন অনেক উপদেশ বাণী মিলে। এর লজিকটা সহজ। বন্ধু হিশাবে যারে আপনি ভাবলেন, তারে নিজের অনেক কিছু বলে ফেললেন। সে বন্ধু না হলে, ক্ষতি করতে পারবে।