বাংলা সাহিত্যে ট্রিলজি বা ত্রয়ী রচনার উদাহরন খুব বেশি না হলেও, একেবারে কমও না। নিচে বাংলা সাহিত্যের কিছু উল্লেখযোগ্য ট্রিলজির উল্লেখ করা হলো-
♠ "পথের পাঁচালি”, “অপরাজিত”, “কাজল” - বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের লেখা
বিখ্যাত অপু ট্রিলজি।
জেনে রাখা ভালো, কাজল উপন্যাসটি লিখেছিলেন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায়ের ছেলে তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
♠ সেই সময়, প্রথম আলো, পূর্ব-পশ্চিম; সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত টাইম ট্রিলজি।
♠ সমরেশ মজুমদারের - উত্তরাধিকার, কালবেলা ও কালপুরুষ; বাংলা ট্রিলজির খুব ভালো একটি উদাহরন।
♠ বিমল মিত্র লিখেছেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি — কড়ি দিয়ে কিনলাম, সাহেব বিবি গোলাম ও একক দশক শতক।
♠ শংকর এর একটি বিখ্যাত ট্রিলজি হচ্ছে- জন অরন্য, সীমাবদ্ধ, আশা আকাঙ্ক্ষা।
♠ ঘরের মধ্যে ঘর, চৌরঙ্গী, কত অজানারে - শংকরের আরো একটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
♠ স্থানিয় সংবাদ, সুবর্ন সুযোগ, বোধদয়– শংকর এর আরেকটি বিখ্যাত ট্রিলজি।
♠ গজেন্দ্রকুমার মিত্রের কলকাতার কাছেই, উপকন্ঠে, পৌষ ফাগুনের পালা- বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রিলজি ও সম্পদ।
♠ অতীন কুমার লিখেছেন তার বিখ্যাত ট্রিলজি- নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে, অলৌকিক জলযান, ইশ্বরের বাগান।
♠ প্রফুল্ল রায় এর কেয়াপাতার নৌকা, শতধারায় বয়ে যায় ও উত্তাল সময়ের ইতিকথা।
♠ শওকত আলীর দক্ষিনায়নের দিন, কুলায় কালস্রোত, পূর্বরাত্রি পূর্বদিন- আরেকটি বিখ্যাত ত্রয়ী।
♠ আশাপূর্ণা দেবী লিখেছেন সত্যবতী ট্রিলজি— 'প্রথম প্রতিশ্রুতি', 'সুবর্ণলতা', 'বকুলকথা'।
♠ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন- ধাত্রী দেবতা, গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম।
♠ আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী, সীতারাম - বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ট্রিলজি।
♠ আবু জাফর শামসুদ্দীন লিখেছেন- ভাওয়ালগড়ের উপাখ্যান, পদ্মা মেঘনা যমুনা, সংকর সংকীর্তন।
♠ একদা, অন্যদিন, আর একদিন- গোপাল হালদারের লেখা ত্রয়ী রচনা।
♠ সাম্প্রতিক সময়ে শরীফুল হাসান এর সাম্ভালা সিরিজ খুব সাড়া ফেলেছে।
♠ নবীনচন্দ্র সেন লিখেছেন ত্রয়ী মহাকাব্য- রৈবতক, কুরুক্ষেত্র, প্রভাস।
♠ আবার কোন লেখার ৪ টি পাঠ থাকলে তাকে টেট্রালজি বলে, সে হিসেবে সমরেশ মজুমদার লিখেছেন টেট্রালজি- উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, মৌষলকাল।