এমন নির্ঘুম শ্রাবণরাতে শব্দের অভাব টের পাই। কেমন যেন মনে হতে থাকে ধীর পায়ে পথের মাঝে পথ থেমে যায় দূর সীমানায়। কত ছোটো ছোটো অভিমানে দিন হয়ে যায় মলিন। থাকে শুধু প্রিয় মানুষের সাথে পেরোনো দুঃখ-সুখের স্মৃতি।
শেষ বিকেলের কনে দেখা আলো বলে যায়, “শোনো, চলে যাওয়া দিন ছিলো ভালো।” তবু এমন নির্ঘুম আষাঢ়ী পূর্ণিমায় আমার অস্থিমজ্জায় শব্দের অভাব টের পাই। তখন কেবল করোটিতে টের পাই অনুরণন, পাই বা হারাই, কী আসে যায়! সবশেষে সেই তো মরে যায় কেবল আদিমতম হৃদয়। আমিও কি তাই ভাবছি একাই?
এভাবে হায়, দিন চলে যায়! নাগরিক জীবন, আমাদের ফেরারি মন পুড়ছে ভীষণ সকল উপেক্ষায়। কেমন যেন অনুভব হতে থাকে ধীর পায়ে দূর সীমানায় পথের মাঝে পথ থেমে যায়। বহুদিন বৃষ্টি না হওয়া আকাশী মেঘ খেলা করে আর আমাদের খোলা জানালায় বিষণ্ণ মন, কত অবেলা! কেটে যায় ভীষণ বর্ষাবিহীন এমন শ্রাবণরাত।
তাই, হঠাৎ মেঘে বৃষ্টি হলে ভাবতে থাকি ভিজবো আবার স্মৃতির জলে? প্রকৃতিকেও তার সেই চিরাচরিত স্বভাব বদলে ফেলতে হয়েছে বহুদিন আগে। তাই পালটানো সময়ে অসময়েই আমার মা’র কথা মনে পড়ে। যখন হাতের ছোট্ট যন্ত্রটা ব্যবহার করে গলা শুনতে পাবো না। গলা শুনতে পেলেও কি ঘ্রাণ পাই?
কারণ মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকা মানে তো মায়ের ঘ্রাণ থেকে দূরে থাকা। তখন কেবল ভাষার অভাব টের পাই।