ধর্মীয় অচলায়তন ভেঙে বেরিয়ে আসা একজন সৈনিকের গাঁথা। যে হিন্দু ধর্মের কুসংস্কারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এগিয়ে চলে এবং স্বপ্ন দেখে সকল ধর্মীয় শৃঙ্খল ভেঙে এগিয়ে যাবে। …স্বামী চৈতন্য কিশোর ভট্টাচার্য সবসময় কেমন যেন চিন্তামগ্ন থাকেন । কখনও প্রাণ খুলে হাসেন না। কিন্তু আজ স্বামীর চোখে-মুখে সুখের ও খুশীর বন্যা দেখেছেন। অঞ্জলী দেবীর মনটা ভরে যায়। হাতটা বাড়িয়ে আলতো করে ঘুমন্ত স্বামীর বুকে রাখেন। তারপর চোখ বুঁজে আসে। হারিয়ে যান জীবন রণাঙ্গনে চৈতন্যের সৈনিক হয়ে। স্বামীর বুকে আঁড়াআড়ি করে রাখা স্ত্রীর হাতটা মনে হচ্ছে ধারলো তলোয়ার। আর ইশারায় বলছেন যেন, তুমি এগিয়ে যাও। যত বাঁধা বিপত্তি আসবে আসুক, কেটে টুকরো টুকরো করে, ধূলিস্যাৎ করে এগিয়ে যাও। আমি আছি তোমার সাথে। চৈতন্য যেন অতল গহীনের এক প্রবল যোদ্ধা-সৈনিক। যে নিমেষে ভেঙে দিতে পারে সকল রণকৌশল। এগিয়ে যেতে যেতে ভেঙে দেবে সকল বাঁধা। এগিয়ে যাবে সুভবিষ্যতের পথে। অঞ্জলী দেবীও স্বামীর সঙ্গে ঘুমের কোলে নিমগ্ন হয়ে হারিয়ে গেলেন।...