করোনাকালীন নিম্নবিত্ত লোকেদের বেঁচে থাকার কঠিন সময়গুলোর প্রতিচ্ছবি। ইচ্ছের বিরুদ্ধেও ভিক্ষাবৃত্তির পথে পা বাড়ালেন... সকাল সকাল বাপ-ব্যাটা স্নান-খাওয়া শেষে প্রস্তুত। এবার বের হবে সাহায্য তোলার আশায়। ছেলেকে হাতে ধরে ঘরের বাইরে পা বাড়াল। মনে মনে ঠিক করে রেখেছে একটু দূর এলাকায় যাবে। যা'তে পরিচিত কেউ সামনে না-পড়ে। কিন্তু একি ! পা জোড়া এত অসার লাগছে কেন। মনের আকাশে সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে। দাঁড়িয়ে থাকাটাই মনে হচ্ছে ভীষণ কষ্টের। স্নিগ্ধ বাতাসের ছোঁয়া মনে হচ্ছে জ্বলন্ত উনুনের তপ্ত ছায়াপাত। এই এখনই বোধহয় অঝোরধারায় চোখের কোণ বেয়ে জলপ্রপাত শুরু হবে। রিক্শার হ্যান্ডেলে হাত রাখতে তো কোনদিন কখনও বিচলিত হয় নি মন। বরং প্রতিদিন মনে হয়েছে যুদ্ধ শেষে জয়ী সৈনিকের বেশে ফিরে আসা। কিন্ত এখন এমন হচ্ছে কেন ?
কৃষ্ণ বাবার হাত ধরে টান দিয়ে বলে- কী হলো বাবা, চলো ?
সম্বিৎফিরে পেয়ে অশোক বিদ্রোহী বেশে পা বাড়ায়। আর মনে মনে সাহসী উচ্চারণ- আমি তো আর পাপ করছি না। জনপ্রতিনিধিরা যদি বেহায়ার মতো এই দুর্দিনেও জনগণের পাওনা-ত্রাণ চুরি করতে পারে। আমি কেন সাহায্য পেতে হাত পাততে পারবো না!...