সুন্দরবনে বাঘের কবলে প্রায়ই জীবন হারাতে হয় তবুও শিকারে যেতে হয়...। চল মা, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।– সুহাসিনীর কথায় গীতালি সম্বিৎ ফিরে পায়। আর কোন কথা না বাড়িয়ে জীবন যুদ্ধের দু'জন সৈনিক মাছ ধরার নৌকায় উঠে বসে।
দেখতে দেখতে অনেক বেলা হয়ে গেছে। এখন খাল পেরিয়ে সুন্দরবনের বেশ অনেকটা ভেতরে যেতে হবে। নতুবা মাছ বা কাঁকড়া কোনটাই খুব একটা ধরা পড়বে না জালে। ওরা শেষবারের মতো সব ঠিকঠাক করে নিল; জালটা একবার ভালো করে দেখে নিল, পিঠে রাখা দা ঠিকঠাক মতো আছে কি-না পরখ করল, তারপর পরনের শাড়িটা ভালো করে বেঁধে নিল। সবকিছুই ঠিক মতো আছে। এখন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময়। ওরা সর্বতোভাবে প্রস্তুত। বাঁশের খুটি থেকে নৌকার দঁড়ির বাঁধনটা খুলে বৈঠা চালিয়ে সুহাসিনী দৃঢ় চিত্তে নৌকা নিয়ে এগিয়ে চলল সামনের দিকে। দুই জোড়া চোখ এখন সুন্দরবনের ভেতর খালের গভীরে তাকিয়ে আছে। জীবন হাতে নিয়ে জীবনের জন্যে ওরা এগিয়ে চলল। ওদের চলার পথে আঁকা আছে শিকার এবং শিকারী।...