পুলিশের এসআই পদে
নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন এসপি সাহেব।
শেষ প্রার্থীকে কয়েকটি প্রশ্ন করার পর এসপি জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলুন তো গীতাঞ্জলি কে লিখেছে?’
লোকটি উত্তর দেবার আগেই এসপি’র ফোন বেজে উঠল।
তিনি ফোন ধরে কিছুক্ষণ ’স্যার স্যার’ বলে সম্বোধন করলেন। অতপর সটান হয়ে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘স্যার আমি এখনই অ্যাকশন নিচ্ছি।’
ফোন রেখে তাড়াহুড়ো করে বাইরে বেরিয়ে এসে সামনে পেলেন এক ওসি’কে। তাকে বললেন, ‘আমার রুমে একজনকে রেখে এসেছি, ওকে জিজ্ঞেস করবে গীতাঞ্জলি কে লিখেছে এবং উত্তরটা আমাকে জানাবে!’
ওসি বলল, ‘স্যার কোনো চিন্তা করবেন না, আমি এক্ষুনি জেনে নিচ্ছি!’
দুইঘন্টা পর এসপি ফিরে এসে শুনতে পেলেন তার রুমের ভেতর থেকে কান্নাকাটি, চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ। অবাক হয়ে রুমে ঢুকে দেখেন চাকরিপ্রার্থী হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মেঝেতে শুয়ে কাতরাচ্ছে, আর তার নাক-মুখ থেকে ঝরছে রক্ত।
এসপি বিস্মিত হয়ে ওসিকে বললেন, ‘আমি তোমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে বলেছি, আর তুমি এর কী হাল করেছো!’
ওসি উত্তর দিল, ‘স্যার, এই ব্যাটা তো মহা বদমাশ, মহা ত্যাদোড়। আমি জিজ্ঞেস করলাম গীতাঞ্জলি কে লিখেছে সত্যি করে বল। সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামে একজনের নাম বলে।
আমি তাকে সতর্ক করে বললাম, সত্য কথা বল না হলে তোর খবর করে দেব। তাও সে কিছুতেই নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে না।
পরে বললাম, তোর বাসায় তল্লাশি করলে কিন্তু মদের বোতল ও ইয়াবা পাওয়া যাবে, তাও শয়তানটা ভয় পায় না। বারবার ওই একই নাম বলে। আর কি করার থাকে স্যার বলুন, দিলাম থার্ড ডিগ্রি।
অবশেষে এইমাত্র ব্যাটা স্বীকার করছে যে, কোনো রবীন্দ্রনাথ না, ও নিজে গীতাঞ্জলি লিখেছে এবং ওর ছোটো ভাইও এর সাথে জড়িত ছিলো।