পোস্টস

গল্প

সোনার বাটি

১০ জুন ২০২৪

আবরার শাহরিয়ার

এক ছিলো ছোট্ট মেয়ে, নাম তার রিমি। রিমি ছিলো খুব দুষ্টু আর চঞ্চল, তবে তার মন ছিলো সোনার মতো। তার প্রিয় কাজ ছিলো গ্রাম্য পথের ধারে ছোট্ট বাগানে ফুলের মাঝে সময় কাটানো। বাগানটি ছিলো গ্রামের শেষ প্রান্তে, যেখানে শুধু পাখির কূজন আর বাতাসের মৃদু সুর শোনা যেতো। একদিন রিমি বাগানে খেলতে খেলতে হঠাৎ একটি পুরনো বাটি খুঁজে পেলো। বাটিটি দেখে সে অবাক হয়ে গেলো। বাটিটি ছিলো সোনার মতো উজ্জ্বল। রিমি বাটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এল এবং তার মা-বাবাকে দেখালো। মা বললো, "এই বাটিটি অনেক পুরনো আর মহামূল্যবান মনে হচ্ছে। আমাদের গ্রামে যাত্রা করা সাধুবাবার কাছে নিয়ে যাওয়া যাক, তিনি সবকিছু জানেন।" পরের দিন সকালে রিমি তার মা-বাবার সঙ্গে সাধুবাবার কাছে গেলো। সাধুবাবা বাটিটি দেখে বললেন, "এই বাটিটি একসময় এই গ্রামের প্রধানের ছিলো। এটি সৎ কাজের প্রতীক। যেই এটি পাবে, তার জীবনে সুখ আর শান্তি আসবে। তবে একটি শর্ত আছে, যে একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করবে, সে-ই সুখী হবে।" রিমি আর তার পরিবার সিদ্ধান্ত নিলো বাটিটি গ্রামের সবাইকে দেখাবে এবং ভাগাভাগি করবে। গ্রামবাসীরা বাটিটি দেখে খুশি হলো এবং সবাই মিলে বাটির গল্প শুনলো। তারা বুঝলো, সুখী হতে হলে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। রিমি ও তার পরিবার গ্রামের সবাইকে নিয়ে বাটিটি ভাগাভাগি করলো এবং সত্যিই তাদের জীবনে সুখ আর শান্তি নেমে এল। সেই দিন থেকে গ্রামটি সুখের গ্রাম নামে পরিচিত হয়ে গেলো। এইভাবেই একটি ছোট্ট মেয়ের সোনার বাটি পুরো গ্রামকে সুখ আর শান্তির পথে নিয়ে গেলো।