গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনি উপন্যাসিক ও কবি হেবা কামাল আবু নাদা নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে তার প্রতি শোক জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।
৩২ বছর বয়সী এই লেখক ফিলিস্তিনি সাহিত্য জগতে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি ২০ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজা শহরের দক্ষিণে তার বাড়িতে নিহত হন।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত সাইপ্রিয়ট কবি, লেখক, প্রকাশক অ্যান্থনি আনাক্সাগোরো তার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, হেবা কামাল তার মৃত্যুর ঠিক আগে নীচের কথাগুলো লিখেছিলেন:
‘বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমরা নিজেদেরকে আনন্দের এক অবর্ণনীয় অবস্থায় খুঁজে পাই। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে, একটি নতুন শহর আবির্ভূত হয় - আমাদের স্থিতিস্থাপকতার একটি প্রমাণ। ব্যথার কান্না বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়, ডাক্তারদের রক্তমাখা পোশাকের সাথে মিশে যায়। শিক্ষকরা, তাদের অভিযোগ সত্ত্বেও, ছোট ছাত্রদের আলিঙ্গন করেন। পরিবারগুলো প্রতিকূলতার মুখে অটুট শক্তি প্রদর্শন করে।'
‘বিশৃঙ্খলার মধ্যে আমরা নিজেদেরকে আনন্দের এক অবর্ণনীয় অবস্থায় খুঁজে পাই। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে, একটি নতুন শহর আবির্ভূত হয় - আমাদের স্থিতিস্থাপকতার একটি প্রমাণ। ব্যথার কান্না বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়, ডাক্তারদের রক্তমাখা পোশাকের সাথে মিশে যায়। শিক্ষকরা, তাদের অভিযোগ সত্ত্বেও, ছোট ছাত্রদের আলিঙ্গন করেন। পরিবারগুলো প্রতিকূলতার মুখে অটুট শক্তি প্রদর্শন করে।'
এছাড়া ৮ অক্টোবর আরবি ভাষায় তার শেষ টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘রকেটের আলো ছাড়া গাজার রাত অন্ধকার, বোমার শব্দ ছাড়া শান্ত, আতঙ্ককে একান্তে রেখে প্রার্থনায় স্বস্তি, অন্ধকার ছাড়াও রয়েছে শহীদদের জ্যোতি। শুভ রাত্রি, গাজা।'
হেবা কামাল গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে জৈব রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি গাজার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ফিলিস্তিনি এই কবি শিক্ষা বিভাগে কাজ করতেন।
২০১৭ সালে তার লেখা উপন্যাস ‘অক্সিজেন ইজ নট ফর দ্য ডেড’ আরব সৃজনশীল বিভাগে শারজাহ অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। তিনি ফিলিস্তিনি প্রেক্ষাপটে লেখালেখি করেছেন। তার কাজগুলো বিশ্বজুড়ে পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
হেবা কামাল ১৯৯১ সালে সৌদি আরবে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার গাজা উপত্যকার ১৫.৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ফিলিস্তিনি গ্রাম বেইত জিরজা থেকে সৌদি আরব যায়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে এই গ্রামটি ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে নিয়েছিল। ফলে সেখানকার ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
হেবা কামাল ১৯৯১ সালে সৌদি আরবে একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার গাজা উপত্যকার ১৫.৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে ফিলিস্তিনি গ্রাম বেইত জিরজা থেকে সৌদি আরব যায়। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে এই গ্রামটি ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে নিয়েছিল। ফলে সেখানকার ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
সূত্র: লিটহাব, গালফ টুডে