পোস্টস

নিউজ

মারিও ভার্গাস: আমি উপন্যাসকে বিদায় জানাচ্ছি কারণ আমার বয়স ৮৭

২৮ অক্টোবর ২০২৩

নিউজ ফ্যাক্টরি

Featured Image
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী পেরুর উপন্যাসিক মারিও ভার্গাস ইয়োসা ঘোষণা করেছেন, তার সাত দশকের সাহিত্যিক ক্যারিয়ার শেষ হতে চলেছে। তার লেখা সাম্প্রতিক উপন্যাসটি হবে তার শেষ উপন্যাস।  

স্প্যানিশ ভাষায় লেখা তার নতুন উপন্যাসটির নাম ‘লে ডেডিকো মি সাইলেন্সিও’ (আই গিভ ইউ মাই সাইলেন্স)। এটি ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। মারিও ভার্গাস জানিয়েছেন, এই বইটি তার শেষ উপন্যাস। তিনি আর কোনো উপন্যাস লিখবেন না।      

৮৭ বছর বয়সী এই লেখক তার নতুন বইয়ের পোস্টস্ক্রিপ্টে লিখেছেন, ‘আমি মনে করি আমি এই বইটি শেষ করেছি। আমি এখন জ্যঁ পল সার্ত্রের ওপর একটি প্রবন্ধ লিখতে চাই। তিনি আমার শিক্ষকের মত ছিলেন। এটাই হবে আমার লেখা শেষ বিষয়।'   

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) স্প্যানিশ পত্রিকা লা ভ্যানগার্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, তিনি অনুভব করতে পারছেন ২১তম উপন্যাস লেখার জন্য পর্যাপ্ত সময় তার হাতে নেই। ফলে তিনি সার্ত্রের ওপর প্রবন্ধ শেষ করতে প্রস্তুত হন। 

এই প্রসঙ্গে মারিও ভার্গাস লা ভ্যানগার্ডিয়াকে বলেছেন, ‘আমার বয়স ৮৭  বছর। যদিও আমি একজন আশাবাদী মানুষ, তারপরেও আমি মনে করি না যে আমি একটি নতুন উপন্যাসে কাজ করার জন্য যথেষ্ট বেশি দিন বাঁচব। কারণ এটি লিখতে আমার তিন বা চার বছরের মত সময় লাগতে পারে।' 

এদিকে নোবেলজয়ী এই লেখক বর্তমানে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বসবাস করছেন। তার পেরুভিয়ান এবং স্প্যানিশ দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।   

তিনি এল বুম নামে পরিচিত লাতিন আমেরিকার সাহিত্য আন্দোলনের শেষ জীবিত সদস্য। এই সাহিত্য আন্দোলনের কারণে ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ এর দশকে গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ, কার্লোস ফুয়েন্তেস, জুলিও কর্তাজার এবং আরও অনেক তরুণ লাতিন আমেরিকান উপন্যাসিক ইউরোপ এবং সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।  

তার প্রথম বই ‘লা সিউদাদ ওয়াই লস পেরস’ ( দ্য টাইম অব দ্য হিরো) ১৯৬৩ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ জিতেছেন।  

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান