এখন অদেখা আলোর আশায় বেঁচে থাকা;
আমরা বেঁচে আছি, না! তা হয়তো নয়,
আমরা নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছি।
যেখানে বেঁচে থাকার অর্থ দুঃখ, লাঞ্ছনা, পীড়া, সেখানে নিজেদের বাঁচিয়ে রেখেছে বীরেরা!
গহন রাত্রির অন্ধকারে, বুক ফাঁটা কান্নার শব্দ ভেসে আসে;
কই চারিদিকে কেউ তো নেই!
তবে-
মনের অন্ধকার এর চেয়েও নিকষ অন্ধকার,
কি চারিদিকে আছে?
যেখানে প্রতি পদে পদে মনে হয়,
বুঝলে পড়ি মৃত্যুর কাঁধে,
সেখানে বিদেহীর চোখে দেখি,
লাশের পাশে মোর জননী যে কাঁদে।
এখন রাতে পালা করে নেমে আসে,
চাপা কান্না, আর্তনাদ, ক্ষোভ
আর নিজের প্রতি ধিক্কার,
বারবার নিজের চোখে হতে দেখি নিজের তিরস্কার।
যেখানে, নিজের সাথে নিজের চোখ মিলানোই দায়,
সেখানে, ক্ষণেক্ষণে শিহরিত হয়ে ভাবি,
কেন দিবে মোর পরিবার মোরে ঠাই!
এখন নিস্তবদ্ধতা চির সঙ্গীর মতো পাশে থাকে, একে একে চলে যায় সবাই;
চিঠিতে দেখা করার প্রতিশ্রুতি তারা ভুলে যায়, কেন শুধু মনে থেকে যায় আমার?
যেখানে, নিজের আত্মার কাছে মাথা তোলা ভার, সেখানে, বেঁচে থাকা সত্যিই আভার!
এখন নিজেকে সামলে নিয়েছি,
বলছি বারবার নিজেকে;
যোগ্যতাই নেই তবুও শুধু দোষারোপ করি মহান স্রষ্টাকে।
এখন প্রার্থনা করি যোগ্যতার,
তা নয়, যা সত্যকে মিথ্যা;
আর মিথ্যেকে সত্য বানায়।
যোগ্যতা নিজের কাছে মাথা তুলে বাঁচবার, যোগ্যতা নিজের সত্য উপলদ্ধি করবার;
যোগ্যতা সেই মহান স্রষ্টার চরণে মাথানত হবার।
যেখানে, ভেবে চলেছি আমি কোনো কাজের নই, সেখানে "এখনো বেঁচে রয়েছি";
বোধহয়, আমাকে দিয়েও কোনো কাজ হয়॥