সারাসপ্তাহের ধকল শেষে বহুদিন পর এতো লম্বা একটা ঘুম দিলাম।আলোম ছিল ৬টার চোখ খুলে দেখি ১০টা বাজে, তরিগরি করে উঠে জানালার পর্দাটা সরাতে না সরাতেই দেখি বৃষ্টি পড়ে, সত্যি বৃষ্টি পড়ে!! এক দৌরে সোজা সিরি দিয়ে নামতেই হঠাৎ মুখের ওপর একটা দমকা বাতাস এসে পড়লো,
মেইন গেট দিয়ে বের হয়েই কেমন যেনো একটা অন্যরকম শান্তি লাগলো।
না হর্নের শব্দ না কোনো কোলাহল, রোজ সকালে কলেজের সেই হইচই টাও নাই। শুধু ঠান্ডা বাতাস, বৃষ্টির ফোটা, পাতার শব্দ আর ভেজা একটা গন্ধ।কি সুন্দর একটা বৃষ্টিস্নাত অঘ্রাণের শুরু। "Nature heals" কথাটা যে আসলেই কতটা সত্যি আজকে বুঝলাম। এএক্সামের টেনশন নাই, কে কি বল্লো কিচ্ছু মনে নাই, বাসার টেনশন, অযথা বিষয়ে মাথা বেথা কিছুই যেনো নাই। বিরাট আকাশের দিকে তাকিয়ে মুখে পড়া বৃষ্টির ফোটাগুলো যেনো একেক করে সব চিন্তা ধুয়ে দিচ্ছিলো। ঠান্ডা বাতাসটা মাথার ভেতরে জমতে থাকা যতসব untitled আবর্জনাগুলা নিমিষেই শেষ করে দিল। হঠাৎ মনে হলো আরে আয়েশ করে বৃষ্টি তে ভেজা তো একটা সুখের গল্পে
স্থবির হয়ে যাওয়া জীবনের মতই সুন্দর।তবে এটা ঠিক আয়েশ বললে হয় না, এমন এক শান্তির সকালের অপেক্ষায় সে কবে থেকে বসে ছিলাম। রোজকার এই একঘেয়ে জীবনটা যেনো আজ সকালেই পাল্টে গেলো। নতুন একটা শাস্তির নিঃশ্বাস পেলাম।
এমন একটা নভেম্বর রেইন কি মাঝেমধ্যেই আসতে পারে না, একটা মনভরা প্রণান্তি দেয়ার জন্য?