কখনও গগন পানে চাহিয়া দেখিছ?
পাখির বেশে যে মুক্তি উড়িছে,
কখনো তাহাদের সাজে সাজিয়া দেখিছ?
যাহারা তোমায় আমায় মুক্তি দিয়াছে,
কখনো কি বলিতে শুনিছ, তারা নিষ্ঠুর?
যাহারা প্রাণ দিতে করেনি কুণ্ঠা বোধ।
কখনো কি তাহাদের ছুইয়া দেখিছ?
যাহাদের শিরায় তাজা সূর্য বহে,
তুমি তাহা করো নাই, তুমি তাহা করো নাই।
আচ্ছা কখনো কি মানুষ হইয়া দেখিছ?
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলিছ?
দ্বন্দ্ব বিনা দুজন একই পথে চলিছ?
কারো হাসির কারণ হইয়া উঠিছ?
তুমি হয়তো তাহাও করো নাই।
তুমি দিয়াছ তাহাদের এক হাসির কারাগার, যেখানে রক্ত রঙ হইয়া ফোঁটে,
রঙ্গভুলি হইয়া ওঠে তাজা তাজা হাঁড়,
তাহারা মিলে ক্যানভাস আঁকে,
শান্তির এক চির মুক্তির দরজার।।
তুমি সেই দরজার দাবিদার নও,
যাহা তুমি ছিনাইতে পারো, বানাইতে পারগ নও।
তাহা শুধু তাহাদেরই দান, যাহারা পায়নি মান, বিদ্রোহ কি তাহাদের তরে ভুলিয়াছে তাহার টান? আমি তুমি আরো শতদলবাসি পুলকিছি তব, দেখিয়া প্রাণহারাদের মুক্তির দরজায় চলিতে শব।