২০ শতকের সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক এবং রহস্যময় উপন্যাসিকদের একজন, বার্নিস রুবেনস। তিনি বুকার প্রাইজ বিজয়ী প্রথম নারী লেখক হলেও বর্তমানে অনেকেই তার নামও শুনেননি। ওয়েলসের এই লেখক ১৯৭০ সালে সাহিত্যের মর্যাদাবান এই পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
বুকারের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ওয়েলস লেখক ছিলেন, যিনি এটি জয় করেন। তিনি ‘দ্য ইলেক্টেড মেম্বার’ উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ পান। উপন্যাসটি ১৯৬৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নর্মান জুয়েক, সম্ভ্রান্ত ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শৈশবে অত্যন্ত প্রতিভাবান ছিলেন। বাবা-মায়ের চোখের মণি নর্মান বড় হয়ে ব্যারিষ্টার হন। কিন্তু একচল্লিশ বছর বয়সে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। হ্যালুসিনেশনের কারণে বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তিনি যেখানেই যান সিলভারফিশ নামের এক ধরনের পোকা দেখতে পান। তার মাদকাসক্তির কারণেই তার পরিবার ধ্বংসের মুখে পড়ে।
রুবেনস ১৯২৩ সালে ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের অ্যাডামসডাউন এলাকায় পোলিশ এবং লিথুয়ানিয়ান ইহুদি অভিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালে ইংরেজিতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে ইংরেজি শেখানো এবং ডকুমেন্টারি ফিল্মে কাজ করতেন তিনি। ৩০ বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন।
এদিকে ২০০৪ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ২০টি উপন্যাস এবং একটি নন-ফিকশন লিখেছিলেন। তার ১৯৮৩ সালের উপন্যাস ‘ব্রাদার্স’ এ একটি পরিবারের চার প্রজন্মের অভিজ্ঞতা অন্বেষণ করা হয়েছে।
তার লেখা ‘আই সেন্ট এ লেটার টু মাই লাভ’ উপন্যাসটি ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয়। এতে অবিবাহিত, মধ্যবয়সী অ্যামি, তার প্রতিবন্ধী ভাই স্ট্যান এবং তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গুইনেথের সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে।
রুবেনসের মতো শ্রমজীবী নারী লেখকরা তাদের সময়ে জনপ্রিয়তা পেলেও এখনও পর্যন্ত অগণিত পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
রুবেনসের মতো শ্রমজীবী নারী লেখকরা তাদের সময়ে জনপ্রিয়তা পেলেও এখনও পর্যন্ত অগণিত পাঠকদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
সূত্র: দ্য কনভারসেশন