পোস্টস

কবিতা

আসল সনদপত্র

১০ জুন ২০২৪

জান্নাতুল ফেরদৌস

মূল লেখক জান্নাতুল ফেরদৌস

 

শূন্য ঘর-পূর্ণ করি -                        চন্দ্র ঢালিলো যেনো কিরণ
পূএ জন্মে খুশির জোয়ারে-             আজি পিতৃত্ব হইলো পূরণ।
কি নামে ডাকিবো-                          কিভাবে পালিবো
                        কিভাবে করিবো তাহারে মানুষ! 
স্বপ্নে বিভোর পিতৃ হৃদয় -               হইয়া উঠিলো ব্যকুল।
                          পূএ আমার সাত রাজার ধন,
               সাধারণ পাঠাগারে সে তাই বড়ই বেমানান!
                পড়াইয়াছি তাহারে স্বনামধন্য পাঠাগারে,
            কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি ঢালিয়া রাখিয়াছি গুরুজন।

বিদ্যালয়ে সে বরাবরই প্রথম - চিত্রকলায় দেশ সেরা চ্যাম্পিয়ন,
সুরের মুর্ছনায় সঙ্গীতান্গন করিয়াছে তাহারে - যথার্থ মূল্যায়ন।
নৃত্যশিল্পে সমান পারদর্শী - বহুদেশ ঘুরিয়া মিলিয়াছে সে স্বীকৃতি! 
       নাটক,চলচিত্র?কোথায় নেই তাহার প্রতিভার দাপট!
            পূএ আজ আমার-দেশের জনপ্রিয় এক নাম।

      মোরা পিতা - পূএ,দিন তো মোদের - কাটিতেছিলো ভালো!
   হঠাৎ! নিশান কোণে - এ কোন,অমাবস্যা যে ছোবল আনিলো!
থরথর কাঁপি পূএ কহিলো মোরে - পিতা,মোর শরীর আর চলে না যে!
                 তবে কি মোর যাইবার সময় হইলো!
    আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িলো মাথায় - হৃদয় হইলো উথাল। 
           পূএ ব্যথায় দিগ্ববিহল - খুঁজিয়াছি তাই পথ্য।
চিকিৎসক আসিয়া কহিলেন : "এ তো দেখি!জটিল এক রোগ!"
      আরোগ্য পাহিতে-তাহারে সত্তর প্রবাসে নেওয়া হোক।

                           মোর পূএ বলিয়া কথা!
   তিলে তিলে তাহার জন্য গড়িয়াছি মোর সারাজীবনের অর্থ  
     দেশ- মহাদেশের বিজ্ঞ হাকিম করিবেন তাহারে আরোগ্য। 
       
       প্রাণপূএ বলিয়া কথা,ঘটা করিয়া হইবে যাহার বিবাহ, 
                    আমারে ছাড়িয়া চলিয়া যাইবে?
                এমন কথা কেমনে মুখে আনিয়াছো!
     সারাদিন - সারারাত কাটিয়াছে নির্ঘুম পিতামাতার 
   এতো যত্নের বাছাধনের, হায়!আজ এ কি হাল হইলো!

পূুএ : পিতামহ,এতো ধন,এতো খ্যাতি,এতো এতো ভালোবাসা,,,,, 
           ঘরময় শোভা পাইতেছে মোর দুনিয়াবি সনদপত্র! 
   বিলাসবহুল খাটে মোর শরীরের আজি নেই কেনো কোনো মূল্য?
                    অর্থ দিয়া দুনিয়া কিনিয়া দিয়াছো,
          ভালোবাসা,জীবন উৎসর্গ করিয়াছো মোর তরে,
 এবার পিতা,মোর জন্যে দেখিতো!মরণ কিভাবে ঠেকাইতে পারো?

পূএ : মাতামহ,আমারে লইয়া ছুটিয়াছো দিবা-রাএি,
               দুনিয়াবি চিনাইয়াছো,
     মোরে আখিরাত চিনিতে তো দেওনি!
যদি মৃত্যু আসিয়া আজি ছিনিয়া লয় মোরে।
মাতামহ,দেখিতো!মরণ কিভাবে ঠেকাইতে পারো?

   ঘরময় শোভা ছড়াইয়াছে যে দুনিয়াবি সনদপত্র, 
জীবনের পাতা খুঁজিয়া দেখি- মোর আসল সনদপত্র শূন্য! 
    দুনিয়াবি মোহ,দুনিয়াবি সুখ,দুনিয়াবি ব্যস্ততা,
            কখন যে ভুলাইয়া দিয়াছে মোরে,
                     মৃত্যু ঘন্টা বাজিলে-
        আখিরাত হইবে মোর আসল ঠিকানা। 
      যে সনদপত্র মোরে পার করিবে পুলসিরাত 
                সেই আসল সনদপত্র কই? 
       পিতামাতামহ,মোর আসল সনদপত্র কই?