০১
প্রথমবার ভালোবাসার জন্য আমি কেঁদেছি থরোথরো কম্পিতসংশয়ে প্রেমে পড়ার পর,
কী আনন্দাশ্রুপাতে উঠোন ভরেছিলো,
পুকুরটাও উছলেপড়া টুইটম্বুর,
পাহাড়ি ঝর্ণার মতো সুউচ্চ চক্ষু পাহাড় থেকে
অশ্রুনেমে ভরেছিলো ঘরের চারপাশ-ক্ষেত-বয়ে চলা নদী।
সবকিছুই ডুবে গিয়েছিলো আনন্দাশ্রুর বন্যায়।
আনন্দাশ্রুর ভরা বন্যার মাঠে, মনের আকাশেপানে তাকিয়ে মুছকি কেঁদেছি।
প্রেমে পড়ার আনন্দে।
০২
ভালোবাসার অগ্নিলাভা ভিতরে অগ্নুৎপাতে
পুড়েকুড়ে খাচ্ছিল।
প্রেমের ভারীপাথর জগদ্দলের মতো হৃদয়ে চেপে বসেছিলো।
আজ আমি আবার কেঁদেছি।
আবার হৃদয়ের সর্ব আকাশজুড়ে নেমেছিলো বন্যা,
আবারো আনন্দাশ্রুবানে ঢেকেগিয়েছিলো সাড়া অস্তিত্বের মাঠ-খাল-বিল।
নদী পরিণত হয়েছিলো সাগরে।
আজ আমার ভেতরের জগদ্দল পাথর গলে গেছে নদীতে,
হৃদয়আগ্নেয়গিরির লাভা বের হয়ে হালকা হয়ে গেছে হৃদয়আকাশ।
আজ আমি দ্বীতিয়বার কেঁদেছি ভালোবাসার পুলকাআনন্দে।
কারন আজ তোমার কানেকানে ফিসফিসিয়ে শতবছর ধরে বুকে বয়ে বেড়ানো ভালোবাসার কথা বলতে পেরেছি।
আমি যে তোমায় ভালোবাসি তা আজ বলতে পেরেছি!