ভ্রমণকাহিনী
ঘুরে এলাম নানাবাড়ি
জহুর মুনিম
শুক্রবারে বের হয়েছি, কোথায় যাব? বাড়ি
ঠিক বারোটায় বাসার নিচে আনা হলো গাড়ি।
সবুজ সবুজ গাছ দেখে
ফুল-পাখিদের নাচ দেখে
বাড়ি এলাম দুটো বাজার কয়েক মিনিট আগে
সত্যি গাঁয়ে এলে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
দুঃখ আছে একটা বটে, দুঃখটা কী বলি
বৃষ্টি আসে মাঝেমাঝে, কেমন করে চলি?
বসে থাকার জন্য তো আর আসিনি এই দূরে
নাইতে যাব দূর পুকুরে, ঘুরব বাড়িজুড়ে।
বিকেলবেলা হেঁটে-বসে লিখতে থাকি ছড়া
গাঁয়ে এলেই তোফান তুলে মস্তকে ছন্দরা।
সন্ধ্যেবেলা ঝুম-ঝুমা-ঝুম বৃষ্টি যখন পড়ে
উঠোণ-কোণে দাঁড়িয়ে ছড়া লিখছি এক এক করে।
রাত বারোটা, টিনের চালে বৃষ্টি পড়ে, থামে
চোখে আমার ঘুম নামে না, মাথায় ছড়া নামে।
টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার আওয়াজ শুনে শেষে
কখন জানি ঢুকে গেলাম ঘুমের আঁধার দেশে।
পরদিন
(শনিবারের সকালবেলা ফিরে যাব তাই
ঘোরাঘুরি ছড়ালেখার বিকল্প আর নাই।)
নাস্তা সেরে এদিক-ওদিক একটুখানি হেঁটে
সকাল নিয়ে ছড়া লিখে সকাল গেল কেটে।
আস্তেধীরে সময় গেল, তিনটে বাজার পরে
ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে বেরুই সালাম-কালাম করে।
বাসায় এলাম। একটা ছোট দুঃখ মনে আছে
বলব কাকে? বলতে পারি পাঠকগণের কাছে।
গাঁয়ে গেলে আগের মতো পাই না এখন স্বাদ
আগের মতো নেই বাড়িঘর, নেই আদর-আহ্লাদ।
কই হারাল সেই খোলা মাঠ, ব্যাট-বলই বা কই?
গাঁয়ে যাওয়ার নেই এখন আর তাই কোনো অর্থই।
ফেসবুকে আমি