কে১ম পর্ব
সেই ১৯৯৫ সালের কোন এক পঞ্চমী তিথির পাখি ডাকা খুব সকাল বেলা। সবুজ ঘাসের মাথায় কুয়াশার জমে থাকা শিশির বিন্দুকে মনে হলো যেন এক রুপসী পরির কানে হিরের দুলের উপর এক রাশি আলোক ছটা। হালকা শীতের রেশ পুরোপুরি যায়নি তখোনো। খুব সকাল বেলাই উঠেছিলাম সেদিন ঘুম থেকে। ওহ আজ যে হাতে অনেক কাজ। আজ শ্রী শ্রী সরস্বতী পুজা। আমার কাঁধে তো অনেক দায়িত্ব পরে আছে। আমার উপর পুজোর সব আয়োজনের ভার। সকালে উঠেই দৌড় খাগ আনতে হবে। ফুল আনতে হবে আরো কতো কি। আমি কি ভুলেও জানতাম আজ আমাকের এক মহা বিষধর সাপে কামড়াবে। সে কথা মনে হলে এখোনো আমি মাথা ঘুরে পরে যাই। সে তো একটা নয় ভিশন বিষধর দু দুটি সাপ। আমার স্পষ্ট মনে আছে সাপ দুটির গায়ের রং ছিলো উজ্জ্বল শ্যামলা। ঠাকুর মশাই আজ আসতে বড্ড দেড়ি করছে। সেই সকাল থেকে উপোস। জীবনে সেবারই প্রথম ও শেষ অঞ্জলি ছিল মনে হয়। যাই হোক মোটামুটি সবকিছু গুছানো হয়েছে। হ্যা অবশেষে ঠাকুর মশাই আসলেন। এসেই হাক ছাড়লেন কিরে তোদের সব গুছানো হয়েছে? রাগে তখন একশতে একশ। একটু কড়া করেই উত্তর করলাম বাকি থাকলে আপনি করেন। ঠাকুর মশাই ঠিক বুঝলেন তার দেরি করে আসার ব্যপারটা। বললেন তোদের সব কিছু অনেক ভালো হয়েছে তা তোদের লিডার কে? তখন তো আমাদের ব্যাজটাই ssc পরীক্ষার্থী।