সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত লেবানিজ বংশোদ্ভূত হাদি মাতারের বিচার ৮ জানুয়ারি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে ছুরিকাঘাতের ঘটনা নিয়ে একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ লেখক। এ কারণে মাতারের বিচার কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে।
হাদি মাতারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী নাথানিয়েল ব্যারন বিচারক ডেভিড ফোলির কাছে বিচার বিলম্বিত করার আবেদন করেন। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার শুরু করার আগে তারা রুশদির স্মৃতিকথা পড়তে চান।
হাদি মাতারের প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী নাথানিয়েল ব্যারন বিচারক ডেভিড ফোলির কাছে বিচার বিলম্বিত করার আবেদন করেন। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার শুরু করার আগে তারা রুশদির স্মৃতিকথা পড়তে চান।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারক ফোলি বিচার কাজ স্থগিত করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত আক্রমণকারীর ঘটনা সম্পর্কে লেখকের স্মৃতিকথা পড়ার অধিকার রয়েছে। আগামি সপ্তাহে এই বিচার শুরু হওয়ার কথা ছিল।
২০২২ সালের ১২ আগস্ট রুশদি নিউইয়র্কের চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হাদি মাতার মঞ্চে এসে তাকে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করে। হামলার ফলে রুশদির এক চোখ অন্ধ হয়ে যায় এবং তার একটি হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হামলার পরপরই ২৬ বছর বয়সী মাতারকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের চেষ্টা এবং হামলার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
হামলার পরপরই ২৬ বছর বয়সী মাতারকে গ্রেফতার করা হয়। খুনের চেষ্টা এবং হামলার অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
চৌতাকুয়া কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি জেসন স্মিড্ট জানিয়েছেন, বিচারের নতুন তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে বিচার বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু বিচারের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।
‘নাইফ: মেডিটেশনস আফটার অ্যান অ্যাটেম্পটেড মার্ডার’ শিরোনামের বইটি ১৬ এপ্রিল পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউজ থেকে প্রকাশিত হবে। গত বছরের জুন মাসে রুশদি ঘোষণা করেছেন, তিনি নতুন একটি বই লেখার কাজ করছেন। এটি কয়েকশ’ পৃষ্ঠার অপেক্ষাকৃত ছোট একটি বই হবে।
তিনি বলেছিলেন, 'এটি লেখা খুব সহজ কাজ হবে না। এটি এমন একটি বই যা লেখার জন্য আমাকে অতীতে যেতে হবে। আমি সত্যিই এমন একটি উপন্যাস লেখা শুরু করতে পারি না যার সাথে এই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং আমাকে এটি মোকাবেলা করতে হবে।'
‘ভিক্টোরি সিটি’ রুশদির সর্বশেষ উপন্যাস ছিল। এটি তার ওপর হামলার আগে লেখা হয়েছিল। বইটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি এর আগে ২০১২ সালে ‘জোসেফ অ্যান্টন’ নামের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে তার ‘মিডনাইটস চিল্ড্রেন’ উপন্যাসের জন্য বুকার প্রাইজ পান। তবে ১৯৮৮ সালে লেখা ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ বইয়ের জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হন। এই বইয়ের মাধ্যমে ধর্ম অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ১৯৮৯ সালে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। ফলে তাকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হল, হারুন এন্ড দ্য সি অব স্টোরিজ, ইমাজিনারি হোমল্যান্ডস, দ্য গোল্ডেন হাউজ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান