একদা শীতের রাতে বারোটার পরে
বেরিয়েছিলাম রাতের শহর দেখব বলে
এগলি ওগলি করে হেটেছি কতক্ষন
জানিনা ততক্ষনে কেটেছে অনেকক্ষন
অবশেষে এসেছি এক বড় রাস্তার ধারে
এখানে দুপাশের ফুটপাতে মানুষ দেখা মেলে
জীর্ণ-শীর্ণ দেহগুলো ঘুমুচ্ছে অঘোরে
শীতবস্র নগণ্য, তবু শীত নাহি কাবু করে
একটি ছোট ছেলে, একটি মাত্র শীতবস্র
মা, দিয়েছে তারে ঢেকে,
নিজেকে শীত থেকে বাঁচাতে,
ছেলের শরীর নিয়েছে নিজের বুকে উপুড় করে
থমকে দাড়াই, ভাবি
মাতৃত্বের বন্ধন যেন ফুটে উঠে
এই রাস্তার ধারে, শীতের রাত্তিরে
দামী সব শীতের কাপড়ে ঢাকা আমার শরীর
লজ্জায় কেঁপে উঠে, মাটির সাথে
মিশে যেতে ইচ্ছে করে
পরদিন ঘুম ভাঙ্গে একটু বেলা করে
বাইরে তখন শীতের দুপুর
মিষ্টি রোদ খেলা করে
দ্রুত বের হই, যাই রাতের সেই ফুটপাতে
উদোম ছোট ছেলেটি রোদে খেলা করে
মা তার অদূরে চুলোয় হাড়ি চাপায়
ছেলের দিকে তাকিয়ে প্রশ্রয়ে হাসে
ভাবি, সুখ এখানেই আছে
এই রাস্তার ধারে, শীতের দুপুরে