পোস্টস

চিন্তা

Help people unconditionally

১১ জুন ২০২৪

হৃদয় হাসান

ধরুন,আপনি রিক্সা দিয়ে কোথাও যাচ্ছেন হঠাৎ করে সামনে থাকা একটা গাড়ির সাথে আপনার রিক্সার মৃদু ধাক্কা লাগলো(সচরাচর ঘটা একটা ঘটনা),ধাক্কার পিছনে দোষটা গড়ির ই ছিলো।যাই হোক কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হলো না।তারপর গাড়ির ড্রাইভার নেমে রিক্সাওয়ালাকে কষে একটা চড় দিলো।রিক্সাওয়ালা গরীব মানুষ ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করলো না।আর রিকশার পিছনের সিটে বসে আপনি উপলব্ধি করলের কাজটা রিক্সাওয়ালার প্রতি ঘোর অন্যায় হলো,ড্রাইভার এটা চরম অবিচার করছে।তাও আপনি চুপচাপ সব মেনে নিলেন কোনো প্রতিবাদ করলেন না।

দৈনন্দিন জীবনে এরকম যখনই আমাদের সামনে অন্য একজন মানুষের সাথে অবিচার করা হয়,অন্যায় হয় হোক সেটা চাকরি ক্ষেত্রে,খেলাধুলা বা অন্য যেকোনো কাজে,যখন আমাদের সামনে একজন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা চুপ থাকি। আমরা মনে করি আরে এটা তো আমার লাইফে কোনো প্রভাব ফেলতেছে না,এটা আমার কনসার্ন না,এটা তার সমস্যা এটা সে ই ফেস করবে,এখানে আমি কি বলবো।আমি চুপ থাকাই শ্রেয়।আসলে সবসময় এই মনোভাব পোষণ করাটা মারাত্মক ভুল।কারন,আরেকজনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে,ন্যায়বিচার এর জন্য যদি আপনি কথা না বলেন তাহলে আপনি নিজেই একদিন সেই অন্যায়,অবিচারের স্বীকার হবেন,এটাই স্বাভাবিক। আর তখন আপনার পক্ষে কথা বলার জন্যও কাউকে পাশে পাবেন না।আমি মনে করি এমন পরিস্থিতিতে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হলো আরেকজনের পাশে দাঁড়ানো,যখন একজন মানুষ নিজের অধিকার চাইতে পারছে না,নিজে কিছু বলতে পারছে না,তখন তার হয়ে কিছু বলাটাই মানবতা।সবসময় আমাদের এটা মাথায় রাখা উচিত আরেকজনের জন্য আওয়াজ তোলা মানে নিজের অধিকার এর প্রতিই সোচ্চার হওয়া।আরেকজনের জন্য আওয়াজ তোলা মানেই সমাজে সত্য,ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটু হলেও অবদান রাখা