পোস্টস

গল্প

গল্প: মিতুলের খেলা (প্রিমিয়াম)

১১ জুন ২০২৪

আহমেদ সাব্বির

শীতের সকাল। কুয়াশার কারাগারে বন্দী ভুরুঙ্গামারীর আকাশ। ধানক্ষেত গাছপালা মাঠ আচ্ছন্ন। ঝাপসা চারিদিক। ভোরের রক্তিম সূর্যটাকে কারা যেন আটকে রেখেছে। পথঘাট শুনশান। শুধু দু’চার জন বৃদ্ধ চাদরে মুখ ঢেকে পথে নেমেছেন। ফজরের নামাজ পড়ে প্রতিদিনই তারা হাঁটতে বের হন। দোকানপাট কেউ তেমন খোলেনি। রাস্তার ধারে একটা কুঁজোবুড়ি কাঁথা মুড়ি দিয়ে চুলা ধরানোর চেষ্টা করছে। ভাপা পিঠার দোকান তার। লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনতে হয়। নলেনগুড়ের স্পেশাল পিঠার জন্য আগেভাগেই অর্ডার দিতে হয়। নইলে পাওয়া যায় না। বুড়িমা চুলোর ভিতর একগাছি পাটখড়ি ঠেলে দিয়ে ফুঁ দিতে চুলাটা দপ্ করে জ্বলে উঠল।

উপজেলার গেটে মিতুলের দোকান। এই হাড়কাঁপুনি শীতে সে দোকান খুলে বালতি টেনে নামালো। চাদর মুড়ি দিয়ে চলে গেল উপজেলার কলে। ছোট্ট মিতুলের কাছে কলটা বেশ উঁচু। চাদর গুটিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে কল টিপতে লাগলো। পানি ভরা হলে ফিরে এলো হাঁপাতে হাঁপাতে। চাদরের ঝুলের দিকটা ভিজে গিয়েছিল। পানি নিংড়ে দোকানে গিয়ে বসল। ঝাড়ামোছা করতে করতে কেটে গেল বেশ কিছুক্ষণ । একটু বেলা হলো। সোনারোদ ঝিলিক দিলো কচি নিমপাতায়। ধীরে ধীরে ভীড় বাড়তে লাগলো।

এটি একটি প্রিমিয়াম পোস্ট।