অসংখ্য নাটকীয়তার পর শেষ হলো ভারতের লোকসভা নির্বাচন ও তার ফলাফল ঘোষণা। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয় দফায় জয়ী হয়েছেন। নানা সমীকরণের পর তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। রোববার স্থানীয় সময় ৭টা ৪৫মিনিটে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। একইসাথে শপথ নেন মন্ত্রীসভার ৭২ সদস্য। এই জমকালো শপথগ্রহণ আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাতটি দেশের সরকারপ্রধান। ছিলেন ভারতীয় সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির তারকারা। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করে দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর রেকর্ডের ভাগীদার হলেন মোদী।
তবে এ বিজয় তার জন্য ঠিক অতটাও সুখকর হয়ে ধরা দিচ্ছেনা।
গেল মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩ আসন পেয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২৩৩টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২ ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। বুথফেরত জরিপে উপসংহার টানা হলেও শেষ পর্যন্ত উলটে গেছে পাশার দান। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে মোদির বিজেপিকে শরিকদের ওপর নির্ভর করে তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার যখন একটু একটু করে ফলাফল আসতে শুরু করে, তাৎক্ষণিক এটা স্পষ্ট হয়ে যায় বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, বরং এক দশক আগে ক্ষমতায় আসা মোদিকে সরকার গঠনে এবার প্রধান শরিক বিহারের নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।
বিশ্বের অনেক নেতাই তাঁদের তৃতীয় দফা নির্বাচনে সফলতা পেয়েছেন। নরেন্দ্র মোদিও এর ব্যতিক্রম নন। আসনসংখ্যা বিবেচনায় এখনো ভারতের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিজেপি। তবে, আসনসংখ্যার দিক থেকে মোদির বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি হলো ৬০টি আসন কম পাওয়া। এটি তৃতীয় দফায় তাঁর দলের এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশাকে ম্লান করে দিয়েছে। বিশেষত যখন দলটির জোটের লক্ষ্য ছিল ৪০০টি আসন ছিনিয়ে নেওয়া। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে আগের দুই মেয়াদে কারও দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়নি। ২০১৪ সালে সরকার গড়েছিলেন ২৮২ আসন পেয়ে। পাঁচ বছর পর পান ৩০৩ আসন। তবে এবার তা নেমে এসেছে ২৪০ এ। ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ৩২টি কম। নিজেকে ‘ঈশ্বর প্রেরিত’ দাবি করা একজন নেতার জন্য এই ফলাফল মাঝারি মানের বলা যায়। এরসঙ্গে প্রমাণ হয়েছে, জনমত জরিপ এবং বিশ্লেষকদের কাছ থেকে প্রায়ই বড় ধরনের ভুল ভবিষ্যদ্বাণীও আসতে পারে।
নির্বাচনের ফলাফলকে বহুত্ববাদের জয় হিসেবে অভিহিত করেছে বিরোধীরা। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশের ভোটাররা আংশিক হলেও মোদির হিন্দুত্ববাদী পপুলিস্ট রূপকল্প প্রত্যাখ্যান করেছেন। আগের বারের তুলনায় বিজেপি এই ভোটে ৬৩ আসন কম পেয়েছে। বিস্ময় এটাই, এই ৬৩ আসনের মধ্যে ৪৪টি আসন বিজেপি হারিয়েছে তিন রাজ্য-উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে; যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি!
এই বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান কারণ দলিত ভোট কমে যাওয়া। ২০১৪ সালে কংগ্রেসবিরোধী হাওয়ায় ভেসে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। কিন্তু আস্তে আস্তে জাত ও ধর্মভিত্তিক নতুন সামাজিক জনবিন্যাসের দিকে বিজেপির মনোনিবেশে ব্যর্থ হয় তাদের সৃষ্টি করা ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জাটভ দলিতদের মাথায় ভর করে মেরুকরণ তৈরি করে ২০২২ সালের বিধানসভায় সাফল্য পায় বিজেপি। কিন্তু সেই জাটভদের বাদ দিয়ে পাসোয়ান, খটিক, ধোবি, কোরি, বাল্মীকি দের সমর্থনের জন্য মোদি সক্রিয় হলে জাটভদের বিরাগভাজন হয় তার দল। ২০১৯ সালে এই দলিতদের থেকে পাওয়া ১৯ শতাংশ ভোট এবার ১০ শতাংশে এসে ঠেকেছে।
এছাড়া প্রচার সভাগুলোয় রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেস নেতারা বারবার তুলে ধরেছেন বিজেপির সংবিধান পরিবর্তন করার মানসিকতাকে। রাহুল গান্ধী তার বহু জনসভায় সংবিধান হাতে নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। কংগ্রেস প্রচার শুরু করে, আম্বেদকরের সংবিধানকে আরএসএস কখনো মন থেকে মেনে নেয়নি। ব্রাক্ষ্মণ্যবাদী আরএসএস দলিত, অনগ্রসর, আদিবাসী, তফসিলদের ঢালাও সংরক্ষণেরও বিরোধী। চারশ আসন পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে তারা আম্বেদকরের সংবিধান বদলে সংঘের সংবিধান চালু করবে। তুলে দেবে সংরক্ষণের সুবিধা। একের পর এক জনসভায় রাহুল গান্ধী সংবিধান ও আম্বেদকরের ছবি তুলে বোঝাতে থাকেন, এ কারণেই বিজেপিকে হারানো দরকার।
ভারতের দলিতদের অহংকার ও গর্বের জায়গা বাবাসাহেব আম্বেদকর ও তাঁর তৈরি সংবিধান। বঞ্চিত, নিপীড়িত, সর্বস্তরে অবহেলিত, অত্যাচারিত দলিতদের কাছ থেকে সেই অহংকার ও গর্ব কেড়ে নেওয়ার অর্থ সব আশার জলাঞ্জলি হওয়া। কংগ্রেসের এই প্রচার ‘ইন্ডিয়া’ শরিকেরাও হাতিয়ার করে। অখিলেশ, মমতা, উদ্ধব, তেজস্বী, শারদ পাওয়ারের মতো নেতৃবৃন্দ রাজ্যে রাজ্যে সংবিধান বদলের বিপদের কথা জানাতে থাকেন। বিজেপি এর মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। ৩৭টির বেশি সংরক্ষিত আসনে বিজেপির হার তার প্রমাণ।
নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা হারানোর দ্বিতীয় কারণ সেনাবাহিনীর ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্প। চার বছরের এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রতিটি সেনা পরিবারে সৃষ্টি করেছে এক প্রবল অসন্তোষ। চার বছর পর যারা কিছু টাকা নিয়ে বেরিয়ে আসবেন, সেই যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ মোদি সরকার অনিশ্চিত রেখে দিয়েছে। বিরোধীরা এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধী দেখিয়েছেন বিকল্প পলিসি। ক্ষমতায় এলে তাঁরা এই প্রকল্প ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে পুরোনো নিয়োগ পদ্ধতিতে ফিরে যাবেন বলে ঘোষণা দেন এক জনসভায়। আরো বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বদলে ফিরিয়ে আনবেন স্থায়ী নিয়োগ। বাহিনীতে দুই শ্রেণির জওয়ান সৃষ্টি করবেন না। রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও বিহারে এই ন্যারেটিভের ফল দেখা গেছে।
দলিত, অনগ্রসর, মুসলমান সহ জাতিগত ক্ষোভের পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে জড়ো হয়েছে কৃষক অসন্তোষ। যে হরিয়ানার ১০টি আসনই গতবার বিজেপি পেয়েছিল, সেখানে এবার ৫টি কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস। পাঞ্জাবে ধরাশায়ী হয়ে গেছে বিজেপি। ক্ষমতায় এলে ফসলের সহায়ক মূল্যের আইনি স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি বিরোধীদের প্রতি জনপ্রত্যাশা বাড়িয়েছে। এছাড়াও শাসনের দ্বিতীয় পর্বে আলোচিত হতে থাকে নরেন্দ্র মোদির কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরতন্ত্রী আচরণ, মানবাধিকার হরণ, চরম অসহিষ্ণুতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্বসহ গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ সংক্রান্ত বিরোধীদের নানা অভিযোগ।
নির্বাচনী প্রচারেও বিরোধী নেতারা সহ ধ্রুব রাঠির মত ইনফ্লুয়েন্সার রা তুলে ধরেছেন মোদির স্বৈরাচারী চরিত্র। তাঁরা বুঝিয়েছেন, গণতন্ত্র রসাতলে যাওয়ার অর্থ ও বিপদ কী। বহু অরাজনৈতিক মানুষ, যাঁরা নানা কারণে মোদিকে সমর্থন করলেও অন্ধ ভক্ত হয়ে ওঠেননি, তাঁরা এই প্রচারে যুক্তি খুঁজে পেয়েছেন। বিরোধীদের এই প্রচার পলিসির মোড় ঘোরাতে চেষ্টার অন্ত রাখেনি বিজেপি। সামনে এনেছে মুসলমান জুজু। টেনে এনেছে রামমন্দির নির্মাণ। ভয় দেখিয়েছেন মঙ্গলসূত্র কেড়ে নেওয়ার। লাভ হয়নি।
তৃতীয়বার মোদি নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু শুরু থেকেই সব দিক থেকে চাপে থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। সরকারে তাঁকে চাপে রাখবেন চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার, জয়ন্ত চৌধুরী, চিরাগ পাসোয়ানেরা আর সরকারের বাইরে কংগ্রেসসহ গোটা বিরোধীকুল।
নির্বাচনের এ ফলাফল নরেন্দ্র মোদির জন্য এক ব্যক্তিগত আঘাত। কেননা, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এর আগে তিনি যেসব নির্বাচন করেছেন, সেগুলোয় সব সময়ই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। সেই সঙ্গে গেল এক দশক ধরে ব্যাপক প্রভাব রেখে চলেছেন দেশটির রাজনীতিতে।
এ ফলাফল কংগ্রেস শিবিরে এনে দিয়েছে আনন্দের উপলক্ষ। পাশাপাশি তা হতাশ করেছে বিজেপি শিবিরকে। একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হলেও প্রত্যাশার চাপ পূরণ করতে না পেরে এ ফলাফল বিজেপির অনেক সমর্থকের হৃদয় ভেঙেছে।
নির্বাচনের ফলাফলে একরকম জৌলুশ হারিয়েছে মোদি ব্র্যান্ড। এক কথায়, মোদিকে নিয়ে তাঁর অনেক সমর্থক যেমনটা ধারণা করতেন, প্রকৃতপক্ষে অতটা অজেয় নন তিনি। মোদি ব্র্যান্ড ম্লান হওয়াটা বিরোধীদের নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনেক কার্যক্রমের বিরোধিতা করা বহু মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন বেড়ে চার বছর আগের নির্বাচনের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। জোটগতভাবেও এগিয়েছে কংগ্রেস। তাদের ইন্ডিয়া জোটের দখলে এসেছে ২৩৩ আসন, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪ আসন।
এবার কংগ্রেসের এই ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন রাহুল গান্ধী । ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ও ‘ভারত জোড়ো নবযাত্রা’র মাধ্যমে কংগ্রেসের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের চাঙা করেছেন। এই দুই যাত্রায় ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ১০ হাজার কিলোমিটার হেঁটেছেন তিনি। এ সময় বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছেন। এ যাত্রায় কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সমর্থকেরাও ছিলেন তাঁর সঙ্গী। এর মধ্য দিয়ে সরাসরি গণমানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ হয় রাহুল গান্ধীর। আর এটাই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছিল।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল রাহুল গান্ধীর এই দুই পদযাত্রা। এর মধ্য দিয়ে অতীতের নানা সমালোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দলটির এবারের নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রধান মুখ হয়ে উঠেছিলেন গান্ধী পরিবারের উত্তরাধিকারী রাহুল গান্ধী।বিরুদ্ধ রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বড় পরাজয় হয়েছিল কংগ্রেসের। কিন্তু এবারের ফলাফলের মধ্য দিয়ে দলটি পুনরায় জীবন ফিরে পেয়েছে। বলা হচ্ছে, এর আগের দুবারের পুনরাবৃত্তি আর ঘটবে না। এবার নির্বাচনের প্রচারে জনমুখী বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এ ছাড়া তরুণ ভোটার টানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধীর ‘সুবক্তা’ হওয়ার বিষয়টি এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে
ভারতে অতীতে বিশৃঙ্খল জোট সরকারের ইতিহাস রয়েছে। যদিও ১৯৯০ ও ২০০০ এর দশকে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে কিছু জোটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে।
এবার বিজেপি যদি ঠিকভাবে মেয়াদ শেষ করতে চায়, তবে মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে হবে তাকে। সে ক্ষেত্রে দলটিকে নিতে হবে অধিকতর পরামর্শমূলক ও বিচার-বিবেচনাপ্রসূত দৃষ্টিভঙ্গির আশ্রয়। শরিকেরা নিজেদের অবহেলিত মনে করলে জোট রাজনীতির নির্ভরশীল সরকার ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে পরবে। যে দল একসময় নিজেদের সর্বেসর্বা বলে মনে করত, ক্ষমতার মসনদ কে শক্ত রাখতে সেই বিজেপি এখন মিত্রদের দিকে তাকিয়ে। যার প্রয়োজন ছিলোনা ২০১৪ ও ২০১৯ সালে।