আমি কোন বনসাই-ই ভালোবাসি না
-বায়েজিদ চাষা
শহরের অভিজাত পাড়ার রোড সাইড এক একটা বেলকনি
স্বৈরাচারের স্মৃতিফলক।
অনাচারীর শিকার যারা, তোমরা তাদেরকে বলো বনসাই
ভুল প্রেমিকের সাথে সংসার করা রমণীর হৃদয়ের ক্ষরণ
বনসাই বটের সুর হয়ে বাজে।
আমি বনসাই ভালোবাসি না।
হকার আর হেলপারের হাঁকডাক ছাপিয়ে
অভিজাত পাড়ার বনসাইদের শোকগাথা কানে বাজে। যেন হোমার গেয়ে চলেছে কষ্ট সংগীত!
কংক্রিটের শহরে বহু বনসাই মানুষের বাস।
বাস থামে মৎস্যভবনের সামনে। ডান হাতে কোর্ট কাচারীর বিল্ডিং গুলো রেখে পায়ে ঠেলা রিক্সা বাতাস কেটে এগিয়ে যায় দোয়েল চত্বর। অভিমুখ রাজু ভাস্কর্য। ধীর পায়ে চলে রিক্সা।
বাম হাতে বর্ধমান হাউস। এই শহরে এমন হাজারো ভবন আছে।
এইসব দালান কিছু স্বেচ্ছা বনসাই মানুষের আখড়া।
আমি কোন বনসাই-ই ভালোবাসি না।
মাথার উপর ছাদ হয়ে ঝুলছে মেট্রোরেল।
'খানকির পোলারা এতো সোন্দর জাগাডা হরছে কি দেহো'গালি দেয় রিক্সাওয়ালা চাচা।
আসলে এই শহরের সব মানুষ বনসাই না কিছু বটবৃক্ষ মানুষ ও থাকে।
আমি কোন বনসাই-ই ভালোবাসি না।
আমি ষষ্ঠাঙ্গে অবনত হই বটবৃক্ষের পায়ে।