মাদার তেরেসা, যদিও তার মানবিক কাজের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত, বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। তার উত্তরাধিকারের অন্ধকার দিক সম্পর্কে কিছু প্রধান পয়েন্ট নিচে উল্লেখ করা হল:
১.যত্নের মান: সমালোচকরা মনে করেন যে তার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির ঘরগুলোতে প্রদত্ত চিকিৎসা সেবা ছিল নিম্নমানের। রোগীরা উল্লেখযোগ্য অনুদান থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত ব্যথানাশক ও চিকিৎসা সেবা পাননি বলে জানা যায়।
২. আর্থিক স্বচ্ছতা: তার সংস্থা দ্বারা প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য অনুদানের বিষয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকরা দাবি করেন যে তহবিল সবসময় তাদের নির্ধারিত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়নি।
৩. ধর্মান্তরকরণ: মাদার তেরেসার অসুস্থ এবং গরীবদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়ই সমালোচিত হয়েছে, কারণ এটি ব্যবহারিক মানবিক সাহায্য প্রদানের চেয়ে মানুষকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার দিকে বেশি মনোনিবেশ করেছে।
৪. বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক: তিনি বিতর্কিত ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং তাদের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করেছেন, যার ফলে তার নৈতিক ও নৈতিক মান সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে।
৫. ভোগান্তির প্রচার: কিছু মানুষ মনে করেন যে মাদার তেরেসা ভোগান্তিকে মহিমান্বিত করেছেন এবং এটিকে ঈশ্বরের কাছাকাছি যাওয়ার একটি মাধ্যম হিসাবে দেখেছেন, যার ফলে ব্যথা উপশম এবং তার যত্নে থাকা মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির প্রতি উদাসীন মনোভাব দেখা গেছে।
৬. গর্ভনিরোধক ও গর্ভপাতের বিরোধিতা: গর্ভনিরোধক এবং গর্ভপাতের প্রতি তার কঠোর বিরোধিতা অনেকের কাছে ক্ষতিকারক হিসাবে বিবেচিত হয়েছে, বিশেষ করে দরিদ্র সম্প্রদায়গুলিতে যেখানে পারিবারিক পরিকল্পনা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৭. স্বেচ্ছাসেবকদের সমালোচনা: কিছু স্বেচ্ছাসেবক যারা মিশনারিজ অফ চ্যারিটির সাথে কাজ করেছেন তারা জানিয়েছেন যে সংস্থার সঠিক স্বাস্থ্যবিধি এবং চিকিৎসা প্রোটোকলগুলির অভাব ছিল, যা খারাপ অবস্থা এবং রোগীদের জন্য চিকিত্সার দিকে পরিচালিত করেছিল।
৮. দারিদ্র্য সম্পর্কে বক্তব্য: মাদার তেরেসার এমন কিছু বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে যা মনে হয় দারিদ্র্য এবং ভোগান্তিকে রোমান্টিক করেছে, যা সমালোচকরা মনে করেন দারিদ্র্য মোকাবেলা এবং হ্রাস করার প্রকৃত প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
এই পয়েন্টগুলো মাদার তেরেসার কাজ এবং উত্তরাধিকারের জটিল এবং প্রায়শই বিতর্কিত দিকগুলি তুলে ধরে।