Posts

চিন্তা

সামাজিক দ্বন্দ্ব ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

June 12, 2024

Debjoy Chakraborty

100
View

ভাব অনুভূতি আদান প্রদানের ব্যপ্তির ব্যপারে অভিবাবক ও সন্তানের সাথে থাকা অলিখিত চুক্তির যথাযত মর্যাদা দেয়া হচ্ছেনা এ বিষয়ে সহমত প্রকাশে কারোরই অসুবিধে হবেনা।
যুব ভাবনার সাথে অধিকাংশ অভিবাবক গোত্রের বুঝাপড়া বা synergy অথবা accept করার ব্যাপারে বিশাল এক গ্যাপ থেকে গেছে। যদি সেটাকে এক বা উভয়পক্ষীয় অনীহার পর্যায়ভুক্ত করা হয় তবে তা যতাযতই হবে। ২১ শতকের শুরুর দশকের জেনারেশন বা তার ২ জেনারেশন পুরানো যুব সমাজকে যদি দেখি তবে বিকশিত স্বীকৃত আচরণের তফাত হবে বিস্তর। 
এ নিয়ে অভিবাবকদের অভিযোগের আসলে কোন কমতি নেই।  জেনারালাইজ করাটাও একটা কর্তব্যে পরিণত হয়েছে। মন্তব্য করার তেমন তাগদা বা আগ্রহ না থাকলে যদি নেহাত কথার খাতিরে বলতে হয় তবে বলবো প্রকৃতির দিকে তাকান। মানব নিয়ন্ত্রণ বিহীন প্রকৃতিতে জীব বৈচিত্র ঠিক কী অপরুপ ভাবেই বেড়ে উঠছে। প্রত্যেক উদ্ভিদ প্রাণী তার নিজস্ব অস্তিত্বে গৌরবের সাথে টিকে আছে যদিও বিপদ প্রতিকূলতা ভাঙ্গা গড়ার নিয়ম বিদ্যমান তবে প্রকৃতি যেভাবে প্রতিকূলতার মাঝে প্রশান্তিকে ঠাই দিয়েছে তা সত্যিই বিষ্ময়কর । তারই ঝংকার প্রতিটি সৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রায়শই জীবন্ত অবস্থায় প্রতিভাত হয়। আর যেদিকে মনুষ্য নিয়ন্ত্রিত প্রকৃতি রয়েছে যেখানে মানব স্বার্থকে প্রকৃতির চেয়েও উচু আসনে ঠাই দেয়া হয়েছে সেখানে উদ্ভিদ প্রাণীর কী করুন অবস্থা। সেটি কিন্তু অশুভ সংকেত। বিষাক্ততার ভয়াল পাখায় ভর করে টিকে থাকা মনুষ্যরুপী দানব বারবার শ্বাশত পৃথিবীর অকৃত্রিম রূপবৈচিত্রকে চিঁড়ে চিড়ে ক্ষত বিক্ষত করে যাচ্ছে। 
 

মনুষ্য নিয়ন্ত্রিত প্রকৃতিতে অভিবাবক্তের ব্যাপারে যদি সন্তান ও পিতামাতার মধ্যকার নৈকট্য নিয়ন্ত্রণ ও স্বাধীকারের অস্তিত্ব দ্বারা  যথাযত ভাবে প্রভাবিত না হয় তবে বিকাশের পর্যায়ে তা প্রতিবন্ধকতা পরিণতিতে বিপর্যয় ঢেকে আনবে। তা বাস্তব সত্য। আমাদের করণীয় পৃথিবীকে ঠিক যতটা জড়া জীর্ন অবস্থায় আমরা পেয়েছিলাম তার তুলনায় ভবিষ্যতের প্রয়োজনে  অধিকতর বসবাস উপযোগী করে তোলার প্রচেষ্টা করা। প্রাপ্তির সুযোগ যেমন আমরা হাতছাড়া করিনা তেমনি কর্তব্যের বোঝা আমাদের বহন করতে হবে।
একটা সময়পর যখন শিশু বুঝতে শিখে তখন তাকে আর কল্পকাহিনী শুনিয়ে আটকে রাখা যায়না। উচিত অনুচিত, মূল্যবোধ এসব ব্যাপারে সচেতন হয়ে ওঠে সে। তখনই সময় আসে ইন্টারেকশনের। দায়দায়িত্ব স্বীকার করা, সীমাবদ্ধতা অসমর্থতা, অপারগতা মেনে নেয়ার। তা না করার কারনেও কিন্তু সামাজিক ভারসাম্য স্থায়ী থাকছেনা। 
যদি শিশুর ভূমিকায় অপর্যাপ্ততা বা সাম্যতা বজায় না থাকে বয়োজ্যেষ্ঠ হিসাবে অভিবাবক তার ঐসব ব্যাপার ধরিয়ে দিবেন। যা শিশুর দৃষ্টির প্রসারতার অভাবে অপ্রত্যক্ষ থেকে যায়।
আর শিশুকে তা মেনে নিয়ে সংশোধন মূলক পথ অনুসরণ করতে হবে। স্নেহময়তার সম্পর্ক অভিবাবক বজায় রাখবেন। পিতৃসুলভ আচরণের দ্বারা শিশুর জাগতিক আদর্শ ও আচরনের বিচ্যুতিকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

ইগনোরেন্সের কারনে দিনকে দিন পৃথিবী অসুস্থ হচ্ছে। শিক্ষা সচেতনতা বিবেকবুদ্ধিগত বিকাশ ঘটানো একান্ত প্রয়োজন তার চিকিৎসায়।

Comments

    Please login to post comment. Login