আমার ঈদটাকে দেখেছেন?
----------আজিম হোসাইন ইমু
দুই দশমিক দুই দশক আগের কথা,
আমি একটা ঈদ পুষতাম।
নিজুত রঞ্জন রঙ মেশানো জীবনানন্দের ঈদ।
কার্নিশবিহীন সংক্ষিপ্ত কেবিনের সবগুলো সমকোণে
ঈদটা আমার উড়ে বেড়াতো উড্ডীন, পুরোদিন।
দিগন্তে মুখোমুখি দূরত্বে যেমন নবজাতক চাঁদ ঝুলে থাকে,
দেয়ালের ব্যক্তিগত আকাশে তেমনি ঝুলে থাকতো
আমার পোষ্য, পূর্ণকালীন ঈদ।
একদা যেকোনো এক চাঁদরাতে, বার্ধক্যের অজুহাতে
স্বজনেরা শহরের প্লাজায় ঈদটিকে
অকথ্য সস্তায় বেচে দিয়ে আসে, আমার গোচরে।
বেঁচে যাওয়ার আকাঙ্খায় বনপোড়া হাড়িনীর মতো
ঈদটা আমার নতুন টুপিতে, মালাইয়ের কাঠিতে
খুচরো সালামিতে, মামার পকেটে, গানের ক্যাসেটে
লুকোতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে যায় বেচে দেয়ার ভয়ে।
আমি বছরান্তে শহরের সবগুলো দালান চষে
বেছে বেছে কিছু দারুণ ঈদ কিনে নিয়ে আসি,
আমার ঈদটাই হবে, এই ভেবে।
কিন্তু ঈদগুলো আর আমার হয় না।
তারা ভাইয়ের অথবা মায়ের অথবা মেয়ের অথবা...
আমার ঈদটাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।