গুয়াদেলোপিয়ান-ফরাসি উপন্যাসিক এবং সমালোচক মারিস কন্দে মারা গেছেন। তিনি উপনিবেশবাদ এবং আফ্রো ক্যারিবিয়ান মানুষের জীবন নিয়েই লেখালেখি করেছেন। বিগত বছরগুলোতে সম্ভাব্য নোবেলজয়ী লেখকের তালিকায় তার নাম ছিল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
কন্দে ১৯৩৪ সালে ফরাসি শাসিত দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপপুঞ্জ গুয়াদেলুপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্যারিসের লাইসি ফেনেলন সেন্ট-মারি এবং ইউনিভার্সিটি সোরবোন নুভেলে পড়ালেখা করেছেন।
কন্দে অল্প বয়সেই লেখালেখি শুরু করেন। ১২ বছর বয়স হওয়ার আগেই তিনি একটি নাটক লিখেছিলেন। এটি তার মায়ের জন্মদিনের উপহার হিসেবে লেখা হয়েছিল।
তার প্রথম উপন্যাসের নাম ‘হেরেমাখোনন’। বইটি ১৯৭৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি প্রকাশের সময় তার বয়স প্রায় ৪০ বছর ছিল। এর আগে কন্দে ঘানা, সেনেগাল এবং ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে শিক্ষকতা করতেন।
১৯৮৪ সালে তার লেখা ‘সেগু’ উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি সাহিত্যিক হিসেবে সকলের নজর কাড়েন। এই উপন্যাসে ঔপনিবেশিকতা এবং দাস বাণিজ্যের প্রভাবগুলো অন্বেষণ করা হয়। তার লেখা ‘আই, তিতুবা: ব্ল্যাক উইচ অব সালেম’, ‘ট্রি অব লাইফ’, ‘ক্রসিং দ্য ম্যানগ্রোভ’ এবং ‘দ্য স্টোরি অব দ্য ক্যানিবাল ওম্যান’ বইয়েও তিনি একই ধারা অনুসরণ করেছেন।
২০২১ সালে তার শেষ উপন্যাস ‘দ্য গসপেল অ্যাকর্ডিং টু দ্য নিউ ওয়ার্ল্ড’ প্রকাশিত হয়। তার স্বামী রিচার্ড ফিলকক্স বইটি অনুবাদ করেন। ২০২৩ সালে এটি ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিল।
যৌন কেলেংকারির জেরে সুইডিশ একাডেমি ২০১৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে বছর নোবেল প্রাইজের বিকল্প হিসেবে ‘নিউ একাডেমি প্রাইজ’ চালু করেছিলেন সুইডিশ সোসাইটির ১০০ সদস্য। প্রথমবার চালু হওয়া এই পুরস্কারটি পান মারিস কন্দে। তারপরে আর কোনো লেখক এই পুরস্কারটি পাননি।
মারিস কন্দের মৃত্যুতে তার ভক্তরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন। ইতালিয়ান-আমেরিকান লেখক এবং অনুবাদক জন ডমিনি এক্সে পোস্ট করা একটি বার্তায় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান