হয়তো চইলা যাইতে পারতাম। কিন্তু তাতে কি অনন্ত কাল ধইরা যাওয়ার রাস্তা পাইতাম? একটা রাস্তা যেইডা দিয়া যাইতে যাইতে যাইতে আসমান ছাইড়া সাত আসমান ছাইড়া ঈশ্বর ছাইড়া আরও উপরে যাওয়া যায়! এমন রাস্তা পাইতাম? হ্যাচারির পাড়ে শিতের দুপুরে টান টান হইয়া শুইয়া থাকা সাপের মতোন শুইয়া আছি বাল! কাম নাই, কামাই নাই। আলাওল কাকার টং দোকানে পাঁঠার মুতের মতো চা খাইয়া যৌবন হালার পুতে নিরুদ্দেশ। মাঝে মাঝে ভোর সকালে যৌবন আইসা জানান দিয়া চইলা যায় ' ওস্তাদ আমি আছি'। হালায়! এত কিছুর পরেও যাই নাই। কারন গেলে তো যাইতেই থাকমু কিন্তু এত রাস্তা কই অনন্তকাল ধইরা যাওয়ার! সেদিন একজন দৌড়ে আইসা কইলো,
- ভাই আগামী কাল তো মঙ্গলবার!
আমি কইলাম,
- হিসাব তো ঠিকই আছে। আইজকা সমবার কাল মঙ্গলবার!
- ভাই কাল তো কিস্তি!
তখন আমার মনে হইল এইসব মাঙ্গের মঙ্গলবার দৈনিক আসে কেন? এক দিন পর পর মঙ্গলবার! জীবনডা সিসিফাসের মতো হইয়া গেছে। সারা দিন পাথর উঠাইলাম, রাইতে দেখি পাথর আমার চ্যাটের উপরে। তাই সব ছাইড়া চইলা যাইতে চাইছিলাম৷ কিন্তু অনন্তকাল ধইরা যাওয়ার কোন রাস্তা তো নাই। যে রাস্তা দিয়া যাইতে যাইতে যাইতে আসমান ছাইড়া সাত আসমান ছাইড়া ঈশ্বর ছাইড়া আরও উপরে যাওয়া যায়। সেইদিন আলাওল কাকা আক্ষেপ কইরা কইলো তার নাকি এই ভোদার জীবন আর ভালো লাগে না। আমি কইলাম,
- ছি কাকা এসব কি কন?
- ক্যা আমি ভুল কইলাম কি?
- ভালো ভাষায় কন। মুখ খরাপ করার কি দরকার?
- যা সত্য তাই কইছি। তুমি কি দ্যাশের সরকার যে তোমারে আমার ভদ্র ভাষায় কইতে হইবো? বাল আমার!
আলাওল কাকার হয়তো চা বানাইতে আর ভাল্লাগে না। যেমন তার আর ভালো লাগেনা বুড়ি বউ। তার হয়তো ইচ্ছা করে লাল কামিজ পড়া কোন সুন্দরী বালিকার হাত ধরে নষ্ট গল্প করা। সে হয়তো চায়ের কাপে চামুচ দিয়া ঘাটতে ঘাটতে ভুইলা যায় চায়ে কয় চামুচ চিনি দিছলো অথবা দেয় নাই! সে হয়তো ভাবে, আচ্ছা এই কাস্টমার কি চিনি খায় না কি খায়না? অথবা কিছুই ভাবে না। সে হয়তো ভাবে পাশের চা দোকানদার মতিনের নাতনি সুলতানার কথা। মনে মনে সুলতানার লগে সরিশা খ্যাতের আইলে খাড়াইয়া ছেলফি তোলে সুলতানার বগলের নিচ দিয়া হাত দিয়া জড়াইয়া ধইরা। হয়তো সে গাবতলির কোন একটা বসতিতে বাসা ভাড়া নেয়। সুলতানার সাথে ঘর বাঁধে। সুলতানারে চা বানাইয়া খাওয়ায়। আথবা সে এটাও ভাবে না। সে হয়তো ভাবে তার বুড়ি বৌরে সে মিস করতাছে। আলাওল কাকার কথা ভাবতে ভাবতে আমার মনেহয় আমার তো শালা একটা বুড়ি বৌ ও নাই। তাইলে আর থাইকা কি লাভ! চইলা যামু সব ছাইড়া। কিন্তু কই চইলা যামু? আর তাই চইলা যাই নাই। চাইলেই চইলা যাইতে পারতাম। কিন্তু তাতে কি অনন্তকাল ধইরা চইলা যাওয়ার রাস্তা পাইতাম? যে রাস্তা দিয়া যাইতে যাইতে যাইতে আসমান ছাইড়া সাত আসমান ছাইড়া ঈশ্বর ছাইড়া আরও উপরে যাওয়া যায়!
- ভাই আগামী কাল তো মঙ্গলবার!
আমি কইলাম,
- হিসাব তো ঠিকই আছে। আইজকা সমবার কাল মঙ্গলবার!
- ভাই কাল তো কিস্তি!
তখন আমার মনে হইল এইসব মাঙ্গের মঙ্গলবার দৈনিক আসে কেন? এক দিন পর পর মঙ্গলবার! জীবনডা সিসিফাসের মতো হইয়া গেছে। সারা দিন পাথর উঠাইলাম, রাইতে দেখি পাথর আমার চ্যাটের উপরে। তাই সব ছাইড়া চইলা যাইতে চাইছিলাম৷ কিন্তু অনন্তকাল ধইরা যাওয়ার কোন রাস্তা তো নাই। যে রাস্তা দিয়া যাইতে যাইতে যাইতে আসমান ছাইড়া সাত আসমান ছাইড়া ঈশ্বর ছাইড়া আরও উপরে যাওয়া যায়। সেইদিন আলাওল কাকা আক্ষেপ কইরা কইলো তার নাকি এই ভোদার জীবন আর ভালো লাগে না। আমি কইলাম,
- ছি কাকা এসব কি কন?
- ক্যা আমি ভুল কইলাম কি?
- ভালো ভাষায় কন। মুখ খরাপ করার কি দরকার?
- যা সত্য তাই কইছি। তুমি কি দ্যাশের সরকার যে তোমারে আমার ভদ্র ভাষায় কইতে হইবো? বাল আমার!
আলাওল কাকার হয়তো চা বানাইতে আর ভাল্লাগে না। যেমন তার আর ভালো লাগেনা বুড়ি বউ। তার হয়তো ইচ্ছা করে লাল কামিজ পড়া কোন সুন্দরী বালিকার হাত ধরে নষ্ট গল্প করা। সে হয়তো চায়ের কাপে চামুচ দিয়া ঘাটতে ঘাটতে ভুইলা যায় চায়ে কয় চামুচ চিনি দিছলো অথবা দেয় নাই! সে হয়তো ভাবে, আচ্ছা এই কাস্টমার কি চিনি খায় না কি খায়না? অথবা কিছুই ভাবে না। সে হয়তো ভাবে পাশের চা দোকানদার মতিনের নাতনি সুলতানার কথা। মনে মনে সুলতানার লগে সরিশা খ্যাতের আইলে খাড়াইয়া ছেলফি তোলে সুলতানার বগলের নিচ দিয়া হাত দিয়া জড়াইয়া ধইরা। হয়তো সে গাবতলির কোন একটা বসতিতে বাসা ভাড়া নেয়। সুলতানার সাথে ঘর বাঁধে। সুলতানারে চা বানাইয়া খাওয়ায়। আথবা সে এটাও ভাবে না। সে হয়তো ভাবে তার বুড়ি বৌরে সে মিস করতাছে। আলাওল কাকার কথা ভাবতে ভাবতে আমার মনেহয় আমার তো শালা একটা বুড়ি বৌ ও নাই। তাইলে আর থাইকা কি লাভ! চইলা যামু সব ছাইড়া। কিন্তু কই চইলা যামু? আর তাই চইলা যাই নাই। চাইলেই চইলা যাইতে পারতাম। কিন্তু তাতে কি অনন্তকাল ধইরা চইলা যাওয়ার রাস্তা পাইতাম? যে রাস্তা দিয়া যাইতে যাইতে যাইতে আসমান ছাইড়া সাত আসমান ছাইড়া ঈশ্বর ছাইড়া আরও উপরে যাওয়া যায়!