একটা গ্রামে অনন্ত নামে একজন খিটখিটে মেজাজের ভদ্রলোক থাকতেন। গ্রামের সবাই তাকে খুব ভয় পেতো, কারণ তিনি কোনো কিছুতেই খুশি হতেন না। তার খিটখিটে মেজাজের জন্য কেউই তার সাথে সহজভাবে মিশতে পারতো না।
একদিন গ্রামের ছোট্ট ছেলে রাহুল একটা বুদ্ধি করলো। সে ঠিক করলো, অনন্ত চাচাকে হাসাতে হবে। রাহুল এক পাকা কলা নিয়ে অনন্ত চাচার বাড়ির সামনে গেলো এবং বললো, "চাচা, আপনি এই কলা খাবেন?"
অনন্ত চাচা রেগে গিয়ে বললেন, "আমি কলা খাবো কেন? এটা তো পাকা হয়ে গেছে!"
রাহুল তখন বললো, "চাচা, আপনি যদি কলা না খান, তাহলে আমি ভাববো আপনি কলা খেতে ভয় পান।"
এ কথা শুনে অনন্ত চাচা গম্ভীর মুখে বললেন, "আমি ভয় পায়? একদম না! দাও কলা!" বলে কলা খেতে শুরু করলেন। হঠাৎ কলার খোসা নিয়ে রাহুল বললো, "চাচা, আপনি এই খোসাটা কী করবেন?"
অনন্ত চাচা বললেন, "এটা ফেলে দিবো।"
রাহুল তখন মুচকি হেসে বললো, "চাচা, আপনি জানেন না? কলার খোসা ফেললে মানুষ পা পিছলে পড়ে যায়!"
এ কথা শুনে অনন্ত চাচা প্রথমে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে রইলেন, তারপর হঠাৎ হেসে উঠলেন। তার এই হাসি দেখে গ্রামের সবাই খুব অবাক হলো। কারণ, তারা কখনোই অনন্ত চাচাকে এভাবে হাসতে দেখেনি।
সেই দিন থেকে অনন্ত চাচার খিটখিটে মেজাজ কিছুটা কমলো। রাহুলের সেই ছোট্ট কৌতুকই গ্রামের সবাইকে দেখিয়ে দিলো যে, কখনো কখনো ছোট্ট হাসির মধ্যে বড় পরিবর্তন লুকিয়ে থাকে।