বুড়িগঙ্গার লালকুঠি ঘাটের একটু সামনে বড় একটা নালা আছে। ঢাকার নানা প্রান্তের ময়লা সেখান দিয়ে বুড়ি মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে যেন বহুকাল পরে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে ছেলে।
আমি বেকার। কাজ টাজ নেই তাই আসরের পরে জিঞ্জিরার দিকে লুকাতে থাকা সূর্যের নরম উত্তাপ শরীরে মাখাতে মাখাতে ওই নালাটার দিকে যাই। একটা ঢিবিমতো আছে। সেখানে বসে দেখি দক্ষিণের দিকে ধাবমান আলিশান পাঁচতারা লঞ্চ, দেখি সেমিজহীন বোকা মেয়ের স্তনের মতো দুলতে থাকা যাত্রীবাহী নৌকা, বালুর কার্গো, আর ক্ষয়াযৌবন বুড়োর মতো কিছু লক্কড়ঝক্কড় ট্রলার। ভরা বর্ষায় বুড়িগঙ্গার বুকে যৌবনের বান ডেকেছে। অসুস্থ সোঁদা গন্ধের বদলে টাটকা পানির গন্ধ শুঁকছি আর জিঞ্জিরার দিকে ক্রমশ হারাতে থাকা সূর্যের ওম মাখছি প্রেমিকার বাহুতে হারাম ছোঁয়াছুঁয়ির মতো।