হামাসের ইতিহাস
আপনারা ইতিমধ্যে ইজরায়েলে হয়ে যাওয়া হামাসের হামলা সম্পর্কে শুনেছেন নিউজ দেখেছেন। জানেন কি কারা এই হামাস। কবে প্রতিষ্ঠা হয় এই সংগঠন? বা কি কাজ এই সংগঠনের? আসুন জেনে নেই তথাকথিত সংগঠন হামাস সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য।
শেখ আহমেদ ইয়াসিন, আব্দেল আজিজ আল-রন্টিসি,মাহমুদ জাহার, মোহাম্মদ তাহ আব্দেল ফাত্তাহ দুখান এবং ইব্রাহিম ফারেস আল-ইয়াজুরি সহ আরো বেশ কয়েকজন মিলে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে তৈরি করেন এই সংগঠন। যার মুল উদ্যেশ্য হচ্ছে ইজরায়েলকে প্রতিহত করে মসজিদুল আকসা কে ইয়াহুদিদের হাত থেকে রক্ষা করা। এবং ফিলিস্তিনের সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করে একটি স্বাধীন মুসলিম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। হামাস বাহিনী শুরু থেকেই ঘোষণা করছে ইজরায়েল যদি ১৯৬৭ সালের স্থানে ফিরে যায়। তাদের আক্রমনে হওয়া ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেয়। তাহলে হামাস বাহিনী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে।
অর্থাৎ তাদের মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে ফিলিস্তিন কে তার আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। ফিলিস্তিনে দুটি সংগঠন বেশি সচল।
হামাস ও ফাতাহ। এর মধ্যে গাজা হচ্ছে হামাসের দখলে।
২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যুর পর ফাতাহ এবং হামাসের মধ্যে সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়। এর আগে তারা একত্রেই ছিলো। এবং ২০০৬ সালে নির্বাচনের পর এটা আরো জটিল হয়ে পরে। এরপর ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ সংগঠনের সামরিক বাহিনীদের পরাজীত করে গাজা দখলে নিয়ে নেয় সে হতে গাজা তাদের দখলে। এতো কিছুর পরেও তারা তাদের টার্গেট হতে একবিন্দু সরেনি। তাদের মুল লক্ষই ফিলিস্তিনকে হেফাজত করা।
হামাস প্রাথমিকভাবে দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়। প্রথমটি হচ্ছে ইজ্জেদিন আল-কাশেম ব্রিগেডসের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, ফিলিস্তিনে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা।
তবে ফিলিস্তিনে একটি ঐকমত্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে গত এপ্রিলে রাজি হয়েছে হামাস ও ফাতাহ উভয়েই।
এখন যে ইজরায়েলে আক্রমণ হচ্ছে এটাও হামাস সংগঠনের তাদের ঐক্যবদ্ধতাদ একটা শাক্ষ দেয়।
দলটির বর্তমান দলপতি ইসমাইল হানিয়া হামাসের প্রধান নির্বাচিত হন আরো একবার। গাজা উপত্যকায় হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ২০০৪ সালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শেখ আহমেদ ইয়াসিন নিহত হন। এরপর হামাসে ইসমাইল হানিয়ার প্রভাব আরও পোক্ত হয়। ফিলিস্তিনের রাজনীতিতে ইসমাইল হানিয়ার সরাসরি উত্থান ঘটে ২০০৬ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে। মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন বিভক্ত ফাতাহ দলের বিপরীতে জয় পায় তাঁর দল। ২০১৭ সাল থেকে ইসমাইল হানিয়া এ পদে রয়েছেন।
হামাস নিঃসন্দেহে একটি ভালো সংগঠন। তাদের কাজ দেশকে ইয়াহুদিদের হাত থেকে রক্ষা করা এবং তারা চেষ্টাও করছে। এমেরিকা ইজরায়েল সহ অনেক দেশ এই সংগঠন কে জংগী সংগঠন বলে সম্ভোধন করেন। তার একমাত্র কারন ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের অন্যতম শত্রুদের মধ্যে হামাস সর্বোচ্চ সংগঠন তাই তাদে বিভিন্ন ভাবে দাবিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে পশ্চিমারা।