পোস্টস

প্রবন্ধ

ইসরায়েল ক্ষমতার উৎস

১৫ জুন ২০২৪

মোহাম্মদ সাকিব (সাকু মিয়া)

মূল লেখক সাকু মিঞা

কেনো এতো দাপট ইজরায়েল এর?

 

 

কেনো এতো দাপট ইসরাইলের | কতো স্ট্রং ইসরাইলের মিলিটারি?



 

"হামাসকে এই হামলার ফল পেতে হবে!  প্রতিটা কোনা হতে হামাস বাহিনী কে ঘায়েল করবো আমরা! সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করলাম সন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে"

ইসরাইলে হামাসের প্রথম দফা আক্রমনের পরে এমনটাই বলেব ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ।


 

কি কারণে এতো কনফিডেন্স তাদের? কি কি অস্ত্র রয়েছে তাদের? কতোই বা ক্ষমতাশালী ইসরাইলের সেনা? আসুন জানি।

Israel Defence Force সংক্ষেপে IDF

১৯৪৮ সালের ২৬ শে মে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের লিখিত অনুমতিতে তৈরি হয় ইসরাইলের নিজস্ব সেনাবাহিনী। প্রাথমিক ভাবে হাগানাহ, লেহি ও ইরগান এই তিন সংগঠন মিলে তৈরি হয় ইসরাইলের নিজস্ব সেনাবাহিনী।

পরবর্তী তে ১৯৪৮ সালে আরব এবং ইসরাইলের যুদ্ধের সময় ইসরাইলে বসবাসরত অনেক মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ানো হয়। 

এবং বর্তমানে ইসরায়েলে বসবাসরত সকল নর-নারীকে বয়স ১৮ হয়ে গেলে বাধ্যতামূলক ভাবে ২৪ থেকে ৩২ মাসব্যাপী মিলিটারি ট্রেনিং দেয়া হয়। যাতে করে তাদের আর্মি পাওয়ার আরো বৃদ্ধি পায়।

ইসরাইলে মোট তিন ধরণের সামরিক বাহিনী রয়েছে স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী।


 

এই তিন বাহিনী মিলে মোট সক্রিয় সামরিক বাহিনী  ১ লক্ষ ৭০ হাজার। এবং রিজার্ভড রয়েছে আরো ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার সেনা। এবং এছাড়া সেখানকার প্রত্যেকটা প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সেনাবাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত তাই জরুরি মুহুর্তে  তাদেরও ব্যাবহার করা যাবে।


 

একটা দেশের মিলিটারির মূল উদ্যেশ্যই হচ্ছে অস্ত্রসস্ত্র ব্যাবহার করে যুদ্ধ পরিচালনা করা এবং দেশকে ডিফেন্স করে স্বাধীনতা রক্ষা করা। আর

এই সব দিক দিয়ে সেরাদের মধ্যে থাকায় ইসরাইলকে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালীদের মধ্যে গন্য করা হয়।

 

এবং অস্ত্রসস্ত্রের দিক দিয়েও ইসরাইল অনেক শক্তিধারী দেশ।

ইসরাইলি সৈন্যেদের অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে বেশ উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র যেমন - F35 ফাইটার জেট যা রাডারকে ফাকি দিতে সক্ষম।  রাডার ফাকি দিয়ে যদি কোনো ফাইটার জেট এটাক দেয় তা একটা দেশের জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে তারা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়ার সময় পর্যন্ত পাবেনা।


 

এছাড়া রয়েছে মিসাইল হামলা ঠেকাতে মিসাইল বোট যেটা সামুদ্রিক ড্রোন এবং মিসাইল হামলা দ্রুততম সময়ে প্রতিহত করতে সক্ষম।

আকাশপথে রকেট হামলা প্রতিহত করার জন্যে রয়েছে 'আয়রন ডোম' যেইটা আকাশের মধ্যেই রকেট  প্রতিহত করতে পারে। এবং স্থলপথে রয়েছে প্রায় ৫০০ মেরকাভা ট্যাংক। এই সকল অস্ত্রই পরিচালিত হয় ইসরাইলের মিলিটারি দ্বারা। এছাড়াও ধারণা করা হয় ইসরাইলের নিজস্ব পারমানবিক বোমা রয়েছে। ইসরাইলের স্টোকপাইল পত্রিকার হিসেবে  কাছে কাছে ৮০ থেকে ৪০০ পারমানবিক ওয়ারহেড তাদের কাছে রয়েছে। 

এবং সেগুলো বিমান থেকে ব্যবহার সহ বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে তারা এগুলো ব্যবহার করতে সক্ষম বলে মনে করা হয়, এর মধ্যে সাবমেরিন হতে উৎক্ষেপিত ক্রুজ মিসাইল এবং জেরিকো সিরিজ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পদ্ধতি অন্যতম।


 

তবে ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে অস্পষ্ট থাকার নীতি বজায় রেখেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও পারমাণবিক অস্ত্র থাকার বিষয়টি অস্বীকার বা স্বীকার না করে পরিবর্তে বছরের পর বছর ধরে বলে যাচ্ছে যে “ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালিত করে প্রথম দেশ হবে না ।।


 

ইসরাইল পারমানবিক অস্ত্রের অপসারণ 'এন পি টি ' চুক্তিতে সাইন করতে অস্বিকার করেন। এবং আন্তর্জাতিক চাপ আসলেও চুক্তিবদ্ধ হন না।  তারা বলেন একসময় এটি তাদের জাতীয় সুরক্ষা স্বার্থের সঙ্গী হবে। এভাবেই তারা বিশ্বের ভয়াবহ রাস্ট্রের মধ্যে একটিতে যায়গা নিয়ে আছে।