শ্রাবণের জোছনা আর মেঘের খেলায়
পৃথিবীতে নতুন ধান গাছের শরীর খোলা।
ভেজা মাটির গন্ধ নাকের ভেতর,
সিগারেটে চুমু খেয়ে ভাবছি
এই গন্ধ কি স্বর্গে পাওয়া যায় !
সেই সময় মধ্যরাতের ঘুমন্ত পৃথিবীতে
শশী একলা একা এসে দাঁড়িয়েছিল।
আমার সিগারেটে চুম্বিত ঠোঁট
চোখের উপর শ্রাবনের চাঁদ ছিল।
তাহার আগমনে
চাঁদ মুখ ঢেকেছিল শ্রাবণের মেঘে।
যদিও লজ্জার কিছুই ছিলোনা চাঁদের;
মেঘের বরণ মুখখানি শশীর।
শুধু অরণ্যের মত গভীর, অনন্ত গভীর
চক্ষুদ্বয় তাহার।
চোখ রাখার সাহস হয়নি;
ডুবে যায় বুঝি সব প্রতিচ্ছবি আমার।
শুধু তার জোসনা মাখা চুলে
জড়ো হয়েছিল পৃথিবীর সব বিভ্রান্তি।
ছুঁয়ে দেখার সাহস হয়নি;
যদি বিভ্রান্তিতে ডুবে যায় এই ধরণী।
হঠাৎ নীরবতা ভেঙে বলল সে
হাত ছুঁয়ে দেখো রক্ত প্রবাহ টের পাবে।
হাত ছুঁয়ে দেখো মানবীর অস্তিত্ব পাবে।
বুকে জড়িয়ে ধরো, শরীরের ঘ্রান পাবে।
বুকে জড়িয়ে ধরো, সমুদ্রের স্পন্দন পাবে।
বুকে জড়িয়ে ধরো, মেঘেদের কাব্য পাবে।
সাহস হয়নি আমার;
যেন অলৌকিক ইতিহাসে বন্দি আমি।
ছুঁয়ে দিলেই হয়তো এই পৃথিবী
আজন্ম জোসনায় ভেসে যাবে।
ছুঁয়ে দিলেই হয়তো মরীচিকার মরুভুমি
গহীন অরণ্য হয়ে যাবে।
নিস্তব্দ আমি, নিস্তব্দ এই রাত
চিরচেনা এই নিস্তব্দতা।
নিস্তব্দতারও ছিল শব্দ
হয়তো ছিল ভালোবাসা।
কেউ শুনলো না সেই কথা
না সেই ছায়া, না সেই মানবী।
নীরবতার মোহভঙ্গের অবসরে
ছায়ার মত মিলিয়ে গেলো শশী।