পোস্টস

চিন্তা

চিন্তা

১৫ জুন ২০২৪

এবিএম রাফি

কি হতো যদি আমরা আধুনিক বিজ্ঞান দিয়ে গর্ভাবস্থায় শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারতাম?

মায়ের পেটের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ দূরে থাক, আমরা তার আকার-আকৃতি, বুদ্ধিমত্তা কিছুই নির্ধারণ করতে পারি না। কখনো পারবোও না কারণ এসব কিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে।আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানের 'আশীর্বাদে' আমরা তার ঝাপসা একটা ছবি দেখতে পারি,, আর একটা নির্ধারিত সময়ে গিয়ে শুধু জানতে পারি শিশুটা ছেলে নাকি মেয়ে।

জাইগোট থেকে পরিণত হওয়ার একটা স্টেজে গিয়ে তাতে প্রাণসঞ্চার হয় (বিজ্ঞানের ভাষায় হার্টবিট শুরু হয়), এবং এই প্রাণসঞ্চারে আমাদের কোনো হাত নেই। এই হার্টবিট একদিন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা তাকে মৃত্যু বলবো।

এই প্রাণের সঞ্চার বা 'রূহ' এর ব্যাপারে আধুনিক বিজ্ঞান কিছুই বলতে পারবে না। কিছুই করতেও পারবে না।

আমাদের তুলনায় ইলেকট্রন,প্রোটন যতখানি ছোটো,,এই মহাবিশ্বের তুলনায় আমরা তার চাইতেও ছোটো (মহাবিশ্বের যতটুকু আমরা আবিষ্কার করতে পেরেছি)। অনেক দূরের এক নক্ষত্রের অস্তিত্ব  সম্পর্কে জানতে পেরেই আমরা নিজেদেরকে এতো শক্তিশালী ভাবি। এরকম কতো নক্ষত্র সৃষ্টিকর্তা বানিয়েছেন সেই সংখ্যা সম্পর্কে আমরা ধারণাও করতে পারি না,তবুও...

সর্বোচ্চ তিনটা মাত্রা (Three dimension)  বোঝার ক্ষমতা নিয়েই মানবজাতির কি অহংকার!

আধুনিক বিজ্ঞানের সবকিছু একত্র করেও কি একটা আগ্নেয়গিরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? ভিসুভিয়াসের মতো কোন আগ্নেয়গিরি কখন সক্রিয় হয়ে উঠবে সেই সময়টাই তো জানি না আমরা...

এমন অনেককে দেখেছি, যাদের বিজ্ঞানের উপর অনেক বেশী বিশ্বাস, তারা ভাবে সকল উত্তর আছে বিজ্ঞানে.. তারা এটা বুঝতে চায় না মানুষকে আল্লাহ তা'য়ালা একটা নির্দিষ্ট ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করেছেন। অতোটুকু ক্ষমতা সৃষ্টির লিমিট। আর স্রষ্টার ক্ষমতা অসীম।

বিজ্ঞানের বিষোদগার করতে চাই নাই। বিজ্ঞানের উপর মারাত্মক বিশ্বাস যে ভ্রান্তির জন্ম দেয় শুধু সেটা বলতে চাইসি...