সন্ধ্যা দেখিনা অনেক দিন- চারিদিকে যখন আঁধার নামে।
ভালো লাগে না অন্ধকার নামা, তবু আমি আজকাল
আঁধারে সবচেয়ে ভালো করে স্বপ্নকে ছুঁই।
আঁধারগুলো মনে হয় আমার কথা শোনে,
ছোট ছোট আঁধারের গন্ধ পাই- নাকে শুকে,
আঁধারে দেখতে পাই- ঝকঝকে এক নতুন সোনা।
বিড়বিড় করি আঁধারের কানে কানে,
আলো আসলে চলে যাবিনা বল।
হিম মেথী কিংবা তার কাছাকাছি কিছু একটা,
বোকা আঁধার মেলে ধরে তার সব জমানো সুগন্ধী।
চোখ বুজতে পারিনা পাহারা দিতে আঁধারকে,
বুকের সোনা যদি পড়শী দেখে ফেলে।
আমি ভোর দেখি প্রায়ই, চারিদিকে তখন অদ্ভুত অভ্যর্থনা।
ভালো লাগে আলো ফোটা, আলোকে ছুয়ে ভাবি
সে সন্ধ্যা-আঁধার নিয়ে স্বপন কেঁটে যাবেনা তো।
কিন্তু কী আশ্চর্য্য আলোও আমার সাথে কথা কয়,
সে আঁধারেরই দিনের রূপ নাকি বুঝতে শিখি।
আমি আর আরোতীর মত কানে কানে বলিনা,
সন্ধ্যা নামলে চলে যাবিনাতো তিতির ভোর আমার।
বোকা আলোকে বুকের পাশে জ্বলতে দিয়ে- আমি পাড়া বেড়াই,
দেখরে দিনমান আমার বুকে আলোর ঝলক।
ভুল কাহিনীতে আর গল্প লিখতে পারিনা;
দেও-দৈত্য-দানব, কাঞ্চনবালা-কাকনবালা-কাজলরেখা,
কিংবা লাল-নীল-সবুজ পরীরা কেউই আর সাত সমুদ্র তেরো নদীর অপারে থাকেনা।
ঠিক ঠিক সে গল্পের কাহিনী আমার ঘরের তে-কোনায় ঘটতে থাকে।
দিন কিংবা রাত প্রতিবেলা অনুভব করি বেঁচে থাকা কম সুন্দর নয়
একটু জল আর একটু আহ্ললাদের যোগানে।