পাশাপাশি, বিজ্ঞান “Truth by Authority” বা অথোরিটির শক্তিবলে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার যে রীতি— সেটাকে বাতিল করে দিয়েছে। জগত সম্পর্কে অনুসন্ধান এবং প্রেডিক্ট করবার সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি বিজ্ঞান। পুরানো ট্রাডিশানগুলার সাথে বিজ্ঞানের বড় একটা পার্থক্যের জায়গা হল : বিজ্ঞান দুনিয়ায় কার্যকর পরিবর্তন ঘটায়।
আজ থেকে ৫০০ বছর আগে, পৃথিবীতে যেখানে মোট জনসংখ্যা ছিল ৫০ কোটির মত, সেখানে আজ প্রায় ৮০০ কোটি মানুষের বসবাস। এই সময়কালে মানুষ আবিষ্কার করেছে নানান মরণ ব্যাধির প্রতিষেধক, এরই মধ্যে ঘুরে এসেছে চাঁদে, পরিকল্পনা করছে মঙ্গলে কলোনি স্থাপনের, উন্মোচন করেছে ডিএনএ-এর রহস্য, ভেঙ্গে দেখেছে পরমাণুর অভ্যন্তর এবং একই সাথে তৈরি করেছে পারমানবিক বোমা। আর এই আবিষ্কারগুলোর মধ্যদিয়ে মানব সভ্যতা এক আইরনিক চূড়ায় পৌঁছেছে—মানুষের ক্ষমতা এখন আর কেবল ইতিহাসের গতিপথকে বদলে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ইতিহাসের সমাপ্তি টানবার শক্তিও সে অর্জন করেছে।