পোস্টস

প্রবন্ধ

লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স ও আধুনিক প্রযুক্তি যেভাবে আইন পেশাকে বদলে দিচ্ছে

১৭ জুন ২০২৪

রাইসুল সৌরভ

অনুবাদক নিগম আনন্দ রায় ও রাইসুল সৌরভ

উন্নত বিশ্বের আইন-আদালতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ন্যায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। তবে সেসব প্রযুক্তি আইনাঙ্গনের জন্য কতটুকু উপযুক্ত? তা ব্যবহারে ঝুঁকিই বা কী কী? আদৌ কি এআই কোন উপকার বিচারালয়ে বয়ে নিয়ে আনতে পারবে? বাংলাদেশের জন্যই বা কতটা উপযোগী এই প্রযুক্তি?

বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য অপরাপর পেশার ন্যায় আইন জগতেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), মেশিন লার্নিং (ML) বা যন্ত্র শিক্ষণ, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) বা স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ, প্যাটার্ন ম্যাচিং বা বিন্যাস মিলকরণ প্রযুক্তির ন্যায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। যদিও ঐতিহাসিকভাবে বিচারপ্রার্থীদের দূর্দশা লাঘবে আইন এবং প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় মেলবন্ধন অতীতে দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীতাও চাহিদা থাকা স্বত্তেও আইন পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং ব্যবহার উপযোগী বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের অভাব ছিল। আইনেরসহজাত দুর্বোধ্যতা অথবা আইনি পরিষেবার প্রয়োজনের সাথে প্রযুক্তিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য সুচিন্তিত ও যথাযথ গবেষণার অভাবও এর জন্য দায়ী হতে পারে। তবে বিশেষত কোভিড-১৯ এর সময় সারা পৃথিবীব্যাপী বিচারিক প্রক্রিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে সুফল বয়ে নিয়ে আসায় আইনাঙ্গনে প্রযুক্তির ব্যবহার দারুণভাবে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। যার ফলে এখন এক্ষেত্রে নিত্য নতুন উদ্ভাবন পরিলক্ষীত হচ্ছে। 

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এবং দ্রুত বিকাশমান ডিজিটাল সমাজের বিশাল স্রোতে আইনিসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহও (যেমনঃ আদালত, ল’ ফার্ম) এসব নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদেরকে রূপান্তরিত করে নিচ্ছে। আধুনিক সময়ে প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) জয়জয়কার চলছে এবং দ্রুততার সাথে এর উন্নয়ন সারা বিশ্বের বিচার ব্যবস্থার জন্য প্রভূত সুযোগ তৈরি করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো সর্বাধুনিক বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন বিচারাঙ্গনে সচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায্যতা, দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিচারপ্রাপ্তি ইত্যাদিআনয়নের সঙ্গে সঙ্গে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিগুলির (যেমনঃ আইনের শাসন, নিরপেক্ষত, সমতা, সুবিচার প্রভৃতি) প্রতি প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের মাধ্যমে ঐতিহ্যগত আইন পেশার চিরায়িত পরিবেশ বদলে দিতে পারে।

লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স বলতে সাধারণত গাণিতিক তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আইন ব্যবস্থায় চলমান ক্রিয়াকলাপ ও উদ্যোগের সমন্বিত তথ্য প্রযুক্তিগতভাবে বিশ্লেষণের কৌশলকে বুঝায়। লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স বা প্রযুক্তিগতভাবে আইনি বিশ্লেষণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বর্তমান সময়ে কিছু এআই সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে যা মোকদ্দমা দায়েরের পূর্বেই একই প্রকৃতির বহু বছরের প্রচুর মোকদ্দমার ফলাফল গাণিতিকভাবে বিশ্লেষণ করে মোকদ্দমার সম্ভাব্য রায় সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করে। কোন কোন এআই সফটওয়্যার আবার নির্দিষ্ট একজন বিচারকের দেয়া সমস্ত রায় বিশ্লেষণ করে উক্ত বিচারকের রায়ের প্রবণতা সনাক্ত করে। কিছু প্রযুক্তি বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার্য বিভিন্ন জটিল সাক্ষ্য-প্রমাণ যন্ত্রের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে, যা মানুষের দ্বারা বিশ্লেষণ করা সময়, শ্রম ও ব্যয় সাপেক্ষ হতো। অপর কিছু সফটওয়্যার আবার বিচারিক নথির বিশাল অংশ থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য নিমিষে খুঁজে দিতে পারে; আইনি প্রাত্যহিক দলিলাদি মুসাবিদা করতে পারে, চেম্বার ব্যবস্থাপনার কাজে সহায়তা করতে পারে প্রভৃতি। 

এ ধরণের আধুনিক প্রযুক্তি বহু বছরের পুরনো উপাত্ত ও অন্যান্য পরিসংখ্যান ব্যবহার করে এমনকি নিজ থেকে মানুষের (আইনজীবীর) সহায়তা ছাড়াই সাধারণ কিছু বিষয়ে আইনি পরামর্শ দিতেও সক্ষম। যার ফলে বিচার কাজে আইনজীবী, বিচারক, আদালত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিচারপ্রার্থীদের বিপুল সময়, অর্থ এবং শ্রম সাশ্রয় হতে পারে। উপরন্তু, এর মাধ্যমে নির্ভুলভাবে কার্য সম্পাদন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যেখানে মানুষের মাধ্যমে সম্পন্ন যেকোন কাজেই সহজাতভাবে ভুল/ত্রুটির সম্ভাবনা থেকে যায়। অধিকন্তু, যন্ত্র মানুষের মতো কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে না।

তবে ইদানিং বেশ কিছু এআই সফটওয়্যার বাস্তবে অস্তিত্ব নেই এমন কিছু মামলা-মোকদ্দমার নজির ভুলভাবে উপস্থাপন করে ব্যাপকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে, যাকে এআই কল্পনা বা হ্যালুসিনেশন বলা হচ্ছে এবং এগুলি যাচাই না করে আদালতের কার্যক্রমে ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীগণও ভৎসনা ও সাজার সম্মুখীন হয়েছেন। সুতরাং, প্রযুক্তির প্রভূত উন্নয়ন হলেও এসকল আধুনিক প্রযুক্তি এখনও আইনাঙ্গনে পুরোপুরি গলদমুক্ত হতে পারেনি। হয়তো অধিক সুচারু গবেষণার ফলে এসকল সফটওয়্যার/টুলসের উপযোগিতা আইনাঙ্গনে অদূর ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।

আজকের দিনে প্রযুক্তিতে আচ্ছন্ন ও বিজ্ঞান মনস্ক মক্কেলগণও তাদের মোকদ্দমায় আইনজীবীদের প্রমাণযোগ্য দক্ষতা, গুণমান এবং দ্রুত সময়ে আরও ভাল ফলাফল প্রত্যাশা করেন। তাই মৌলিক ও চলমান কম্পিউটার প্রযুক্তির সাথে সাথে লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স কৌশলের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত সফটওয়্যার বিনামূল্যের আইনি সেবা সহায়তা প্রদান সংস্থা, আদালত থেকে শুরু করে বড়বড় ল’ ফার্ম, কর্পোরেট আইনি বিভাগ এবং সরকারি আইনি প্রতিষ্ঠানেও জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। এই যুগান্তকারী প্রযুক্তির ব্যবহার আইনজীবী এবং আদালত উভয়ের কাজের চাপ হ্রাস করে, বিচারপ্রার্থীদের খরচ কমিয়ে দেয় এবং নিঃসন্দেহে সকলের মূল্যবান সময় বাঁচানোরনতুন দিগ্নত উন্মোচন করেছে; যা বিচার বিভাগের জন্যও জনবান্ধব হওয়ার পথ সুগম করেছে। সেকারণেই লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স কৌশল সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যদিও পরিতাপের বিষয় হল দেশের বিচারাঙ্গনে ডিজিটালাইজেশনের অভাব, অনাগ্রহ ও অজ্ঞতার কারণে এটি আমাদের বিচার ব্যবস্থায় এখনও পরিচিতি লাভ করেনি। 

ল’ চেম্বারগুলি তাদের মক্কেলদের জন্য আরও বেশি সেবা যোগ করতে তাদের দৈনন্দিন কার্যাবলী যেমন আইন বিশ্লেষণ, গবেষণা, নজির খোঁজা, মামলা ব্যবস্থাপনা, স্বয়ংক্রিয় চুক্তি পর্যালোচনা, বিভিন্ন আবেদন এবং চুক্তি মুসাবিদা করা প্রভৃতি কাজে এআই সফটওয়্যারসমূহ ব্যবহার করতে পারে। তবে যেহেতু এসকল সফটওয়্যার এখনও সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্য উপাত্ত প্রদানে নির্ভরযোগ্য হয়নি, তাই এ ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিচারক ও আইনজীবীগণকে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

 এসব ছাড়া, এ প্রযুক্তি এমন সম্ভাবনাও তৈরি করেছে যে, যারা আইনজীবী নয় অথবা যাদের আইন পেশা পরিচালনার স্বীকৃতি/সনদ নেই তারাও চাইলে এসকল সফটওয়্যারের সহায়তা নিয়ে বিচারপ্রার্থীদের আইনি পরামর্শ দিতে পারে। আধুনিক এই কম্পিউটেশনাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন আইনি পরিষেবাসমূহ স্বয়ংক্রিয় উপায়ে সরবরাহ করার সক্ষমতা আছে। সেইসাথে দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ আইন সম্পর্কিত জটিল সমস্যা বুঝতে এবং সেগুলির সম্ভাব্য সমাধান প্রদান করতেও সক্ষম। তাই কারও আইনি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে, আইনি পরামর্শ বা পরিষেবা, এমনকি স্মার্টফোন বা অন্যান্য যন্ত্রের দ্বারা অ্যাপের মাধ্যমেও গ্রাহকের কাছে তা পৌঁছে দেয়া সম্ভব। ফলশ্রুতিতে সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সুযোগ তৈরি হবে এবং আইন পেশার মতো অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত একটি পেশা লাগামহীন হয়ে মানহীন ও অপ্রয়োজনীয় পরামর্শের দরুন সাধারণ জনগণের স্বার্থহানী ঘটাতে পারে। কারণ আদালতে মামলা পরিচালনা করার সময় আইনজীবিদের নির্দিষ্ট মান এবং দক্ষতা বজায় রাখতে হয়; যেখানে আইনি পরিষেবার মান অবশ্যই অ-আইনজীবীদের দ্বারা যে বজায় থাকবে না তা বলাই বাহুল্য এবং শেষ পর্যন্ত তা বিচারপ্রার্থীদেরআইনগত অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এছাড়া আইনজীবীগণের তাদের মক্কেলকে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব এবং স্পষ্ট তথ্য প্রদান করারপেশাগত দায়-দায়িত্ব রয়েছে, যা এই অ্যাপ ভিত্তিক প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কোন বিচারকের রায় দেয়ার নির্দিষ্ট প্যাটার্ণ বা প্রবণতা খুঁজে বের করার ফলে বিচারকদের প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে আরেকটি উল্লেখযোগ্য উদ্বেগ হল, বিচারকরা সেক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্বচাপমুক্ত ও নির্ভীকভাবে পালন করার জন্য বাহ্যিক চাপ অনুভব করতে পারেন; যা দিন শেষে সমগ্র বিচারক সম্প্রদায় সম্পর্কেসমাজে নেতিবাচকতা ধারণা বয়ে নিয়ে আসতে পারে। 

অতএব, এটি স্পষ্ট যে সুবিধার পাশাপাশি এসব প্রযুক্তির বহুল ব্যবহার আইন পেশা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জও উপস্থাপন করছে। তাদের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত রোবট আগামী দিনে আদালতে মানব বিচারক এবং আইনজীবীদের প্রতিস্থাপন করতে চলেছে কিনা তা এখন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন। এ প্রযুক্তি বিচারাঙ্গনে প্রচলিত চিন্তাধারা, কাজের প্রক্রিয়া এবং বিদ্যমান আইন ও প্রবিধানের প্রয়োগকেও ভীষণভাবে চ্যালেঞ্জ করে। তাইঅন্যভাবে আবার বলা যায়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আইন পেশার জন্য কিছু ক্ষেত্রে হুমকি এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণও বটে।

উপরিউক্ত কারণসমূহ ছাড়াও, আইন পেশায় লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে নৈতিকতা এবং পেশাগত সততা, বৈষম্য, পক্ষপাত, তথ্য সুরক্ষা, গোপনীয়তা ইত্যাদি সম্পর্কিত নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সাধারণত পূর্বনজিরসহ মানুষের দ্বারা প্রদেয় বিরাজমান উপাত্তের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়। ফলস্বরূপ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শুধুমাত্র পূর্ববর্তী সিদ্ধান্তগুলির সাথে চিন্তাভাবনা এবং কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত হয়; যেগুলির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে প্রচুর পক্ষপাতিত্ব এবং বৈষম্যমূলক উপাদান রয়েছে। যার ফলে আইনের অধীনে ন্যায্যতা এবং সকলের জন্য সমান সুরক্ষার নীতি লঙ্ঘনের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে৷ উপরন্তু, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রায়শই সংবেদনশীল আইনি তথ্য এবং নথিতে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয়। যথাযথ তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং অননুমোদিত প্রবেশাধিকার প্রতিরোধ করা না গেলে এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা মক্কেলের গোপনীয়তা বজায় রাখা এবং গোপনীয়তার প্রবিধান মেনে চলা অত্যন্ত দুরূহ হবে।

প্রত্যেকটি মামলারনিজস্ব স্বকিয়তা, জটিলতা, স্বতন্ত্র প্রেক্ষাপট, আবেগ, আবেদন, অবস্থা অনুধাবন এবং মানবীয় বিবিধ কারণে সাধারণ নাগরিকবৃন্দ আইনজীবী এবং বিচারকদের নিকট বুদ্ধিবিত্তিক ও মানবিক স্বত্বার প্রয়োগের মাধ্যমে আইনি সমস্যার সমাধান প্রত্যাশা করেন। অপরদিকে, এআই এখনও মানুষের মতো সৃজনশীল চিন্তাভাবনার ব্যবহার করতে উপযুক্ত নয়, যা একজন ভাল আইন পেশাজীবী হওয়ার অন্যতম মানদণ্ড। 

সুতরাং, এই নতুন উদ্ভাবন আইন পেশাজীবীদের প্রাত্যহিক কাজ তরান্বিত করার জন্য কীভাবে ব্যবহৃত হতে পারে তার উপর নিয়ন্ত্রণ এবং এর ফলে কী কী ঝুঁকি রয়েছে সে সম্পর্কে আইন পেশাজীবীদের সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল হওয়া অত্যাবশ্যক।

উল্লিখিত কারণে এটি স্পষ্ট যে নতুন এআই প্রযুক্তিসম্বৃদ্ধ লিগ্যাল অ্যানালাইটিক্স কৌশল আইন জগতের জন্য উপকারী হতে পারে যদি না আমরা তা বিচার বিভাগের মৌলিক মূলনীতি সমুন্নত রেখে সুবিন্যস্ত উদ্ভাবন ওদায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি।সেক্ষেত্রে অবধারিতভাবে আমাদের আইনের শাসনের ধারণা, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, বৈষম্যহীনতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে দৃঢ় নৈতিক দিকনির্দেশনা এবং এই প্রযুক্তির যৌক্তিক ব্যবহারকে নিশ্চিত করতে হবে।