Posts

চিন্তা

অফিসে কাজের ষোল আনা

June 17, 2024

লবেরু

কাজকে সবাই ভালবাসে না, কাজকে সবাই ভালবাসে। কাজকে ভালবাসার মতো উত্তম কাজ পৃথিবীতে আর নাই। মানুষ সৃষ্টিশীল। মানুষ সৃষ্টির সেরাটা দিয়ে কাজ করে বলে পৃথিবী খুব সুন্দর। তাই, কেবল মানুষই কাজকে ভালবাসে। জগতের অন্য প্রাণীর কাজে স্পৃহা নাই।

Industry is the key to success. অর্থাৎ পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই পরিশ্রম করুন না কেন সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবেই বিবেচিত হবেন। চাইনিজ, ইউরোপীয়ানরা পরিশ্রমী বলেই আজ পৃথিবীতে তাদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। জাপানীজরা জানে না দায়িত্বে অবহেলা মানে কি? সবাই যার যার কর্মে ব্যস্ত থাকে। আর ব্যস্ত থাকে বলেই তারা উন্নত জাতি। 

কিন্তু বাংলাদেশে এর উল্টোচিত্র পাবেন। প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে দেখবেন একটা শ্রেণী কাজে মন নেই, যারা কাজে মন দিচ্ছে এদের উপরই কেবল কাজ চাপানো হচ্ছে। অফিসের এটা কমন দৃশ্য। ফাঁকিবাজরা কাজ এড়িয়ে যাচ্ছে আর পরিশ্রমীরা গাধার মতো পরিশ্রম করে যাচ্ছে। যে যত কাজ করছে তার উপর তত বেশি কাজ চাপানো হচ্ছে। 

এতে অফিসে কী হয়? অফিসের কর্ম পরিবেশ মারাত্মক নষ্ট হয়। তৈরি হয় ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষসহ নানামুখী সমস্যা। যে কাজটি সঠিক সময়ে হওয়ার কথা সেই কাজটি করতে বেশি সময় লাগছে। যার যে কাজ তার দ্বারা কাজটি না হওয়ার কারণে অন্যের উপর চাপ বাড়ে। দেখা দেয় মনে অশান্তি। 

কাজ না করেও পদোন্নতিসহ নানান সুবিধা বাগিয়ে নেওয়ার সময়ও তারা এক পা এগিয়ে। পৃথিবীর সব প্রান্তেই পারফরম্যান্সকে ভিত্তি করে কর্মস্থলে পুরস্কার দেওয়ার রেওয়াজ থাকলেও বাংলাদেশের কর্মস্থলে তা একেবারে ভিন্ন। এখানে তেল কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যাদের কাজ করার অভ্যাস করা এদের আবার তেল মারার অভ্যাস বেশি, অফিসে গুটিবাজী করার অভ্যাস বেশী, ক্রেডিট নেওয়ার অভ্যাস বেশি। 

Comments

    Please login to post comment. Login