সুখ জিনিস একটাই তবে সুখ একেকজনের কাছে একেক রকম।
কারোর কাছে এটা নির্ঘুম রাতের পর সস্থির ঘুম কারোর কাছে আবার, দিনের খাটুনি শেষে বাড়ি ফিরে নিজের উপার্জিত অর্থ থেকে বাজার করার পর সেগুলো রান্না করে মুখে দেয়া দুমুঠো ভাত।
সুখ অনেক রকম হয়। অনেকে অনেক ভাবেই তাকে নেয়। কেউ মদের গ্লাসে চুমুক দিয়ে চিপ্সের কচমচ শব্দের সাথে মদযাপন করে, রাত্রিকে পার করার সময়ে শান্তি নেয়। আবার কেউ, হঠাৎ কোনো বৃষ্টিস্নাত দিনে! বর্ষার পিড়িপিড়ি বৃষ্টির শব্দের সাথে টিন দিয়ে ঢাকা চায়ের দোকানে বসে, আকাশ থেকে কানে ভেসে আসা মেঘের ভয়ংকর গর্জনের শব্দ শুনতে শুনতে নাকে ভেসে আসা ভেজা মাটির ঘ্রাণ শুকতে শুকতে এবং সেই ঘ্রাণের আদরে জর্জরিত আনন্দের মুহূর্তে হাতে এক কাপ উষ্ণতা মাখা, ধোয়া ওঠা চায়ের কাপ নিয়ে সেই চায়ে চুমুক দিয়ে স্বাদে মলিন মুখটাকে আনন্দিত করে ফেলে। কেউ বা একা একা নদীর ঘাটের সিঁড়িতে বসে বাতাস খেতে খেতে, নিজের ক্লেশকে বাতাসের সঙ্গে উড়িয়ে ক্লেশ মুক্ত হয়। কেউ বা খোলা বাতাসে নিজের প্রাণকে বিলিয়ে দিয়ে আপন মনে বাতাস খেয়ে আনন্দ নিয়ে দুঃখিত হৃদয়কে সুখী করে । কারোর ক্লেশই কখনো দীর্ঘজীবী হয় না। কেউই দীর্ঘদিন দু:খি থাকেনা আবার সুখীও থাকেনা। আজ যেই হৃদয়টি ক্লেশে জর্জরিত রয়েছে কাল তা আনন্দে পরিপূর্ণ হবে। আবার আজ যেই হৃদয়ে ক্লেশের ছোঁয়া নেই। কাল সে হৃদয়ে আনন্দের ছোঁয়া থাকবেনা। এটাই নিয়ম। আর এভাবেই চলছে সুখের পরে দু:খ আর দু:খের পরে সুখ।