পোস্টস

গল্প

ক্লারা আর জেমসের চিঠি

১৮ জুন ২০২৪

শাহ আমান উল্লাহ

ক্লারা আর জেমসের চিঠি

১৯৪২ সালের গ্রীষ্মকাল। ছোট্ট এক সমুদ্রতীরবর্তী শহরে জেমস, একজন তরুণ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা, ক্লারার সাথে প্রথম দেখা করে। ক্লারা, যার লালচে চুল আর উজ্জ্বল আত্মা, ছিল স্থানীয় সরাইখানার মালিকের মেয়ে। প্রথম দেখাতেই তারা একে অপরের প্রতি গভীর আকর্ষণ অনুভব করে।

তাদের প্রেম দ্রুতই প্রস্ফুটিত হয়, সমুদ্রতীরের বুনো ফুলের মতো। তারা অগণিত সন্ধ্যা একসাথে সমুদ্রের তীরে হাঁটতে কাটায়, স্বপ্ন আর গোপন কথা শেয়ার করে। জেমস ক্লারাকে প্রতিশ্রুতি দেয়, সে যেখানেই যাক না কেন, তার কাছে ফিরে আসবেই। যাওয়ার আগে, তারা একে অপরকে চিঠি বিনিময় করে, প্রতিদিন লিখবে বলে অঙ্গীকার করে।

পরবর্তী তিন বছর, তাদের চিঠিগুলো ভালোবাসা, আকাঙ্ক্ষা আর আশায় পূর্ণ ছিল। ক্লারা প্রতিটি কথায় তার হৃদয় ঢেলে দেয়, বর্ণনা করে রঙিন সূর্যাস্ত, সমুদ্রের গন্ধ, আর তার অবিচল ভালোবাসা। জেমস তার অভিজ্ঞতার কথা লেখে, যুদ্ধের ভয় আর অনিশ্চয়তা, কিন্তু প্রতিটি চিঠির শেষে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে ক্লারার কাছে ফিরে আসবে।

যুদ্ধ শেষ হয়, আর জেমস ক্লারার কাছে ফিরে আসে, যেমন সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা আকাশের নিচে বিয়ে করে, যেখানে তারা প্রথম একে অপরের দিকে তাকিয়েছিল। বছরের পর বছর তারা সুখে বসবাস করে, তাদের প্রেমের চিঠিগুলো সময়ের সাথে আরও মূল্যবান হয়ে ওঠে।

বৃদ্ধ বয়সে, ক্লারা আর জেমস তাদের চিঠিগুলো বারবার পড়ে। প্রতিটি চিঠি তাদের প্রেমের একটি অধ্যায়, তাদের যাত্রার একটি অংশ। এক শীতের রাতে, জেমস ক্লারাকে আলিঙ্গন করে এবং শান্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ক্লারা তার হাত ধরে, জানে যে তাদের প্রেম চিরন্তন। কিছুক্ষণ পর, ক্লারাও জেমসের পাশে শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়ে।

তাদের প্রেমের গল্প, চিঠির পাতায় পাতায় লেখা, চিরকাল বেঁচে থাকে। ক্লারা আর জেমসের হৃদয় এক হয়ে যায়, তাদের প্রেম চিরন্তন হয়ে থাকে।