জনগণ আর প্রশাসনের পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ায়
পৃথিবীতে ফুলের ফলন এবছর ভালোয় হয়েছে।
সদ্যেজাত এই স্বর্গের সন্তানদের সৌরভকে
বোতলজাত করে বানানো বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের পারফিউম
প্রেসিডেন্টের অস্বস্তি ঢাকবে এইবার।
অবশেষে কাঁটাতার দিয়ে অরণ্যগুলোকে বয়কট করেছে জনপদ-
মানবশিশুকে আর তুলে নিতে পারবে না ধূর্ত চিতাবাঘ!
মানুষের সময় কেটে যাবে নির্ঝঞ্ঝাট।
এদিকে মুখোশ পরতে না পারার ব্যর্থতা
আমাকে মানুষই হতে দিল না।স্পষ্ট মনে আছে-
এক অদৃশ্য অতিথির যথার্থ অ্যাপায়নে ব্যর্থ হয়ে
মানুষেরা মুখ ঢেকে ফেলেছিল লজ্জায়।
আমি সেদিনও অর্ধেক মুখোশ পরতে রাজি ছিলাম না।
এই অপরাধে এক জনাকীর্ণ চৌরাস্তায়
আমাকে কান ধরে উঠবস করিয়েছিল রাষ্ট্র।
একজন পরিপাটি মেদহীন জোক অথবা জোকার
আন্তরিকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন,
মানুষ আর মুখোশ শব্দদুটো ঠিক কতটা সমার্থক!
আমি প্রতিবাদ করে বলেছিলাম,
“বিশ্বাস করেন, জনাব- মানুষ হওয়ার এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটি আমাদের পাঠ্যক্রমে ছিল না।”
তিনি এই পুঁথিগত জ্ঞান ভূমধ্যসাগরে
ফেলে দিয়ে আসতে বলেছিলেন।
আমিও তাঁর কথার যথার্থতা টের পেয়েছিলাম,
কেননা কাগজে কলমে পৃথিবী সুখেই আছে।