লেখালেখির কাজটা
--মো: আশেকুল ইসলাম
লেখালেখির কাজটা
কঠিন কি অতটা?
দরকার শুধু কাগজ আর কলমটা
এক্ষুণি হাতে নেওয়া।
শুরুর দিনগুলোতে
যা খুশি তাই আসুক ভাবনার স্রোতে
আশেপাশে যা কিছুই দেখি
কেন লিখি না তা সাহস করি?
ভাল হতে পারে সবচেয়ে
ইতিবাচক লোকদের লেখাগুলো দেখালে
নেতিচিন্তা করে যেসব লোকেরা
জরুরী ব্যাপার হল তাদের নেতিবাচকতা আমলে না নেওয়া।
একটিমাত্র কটু মন্তব্য
থামাতে পারে কলম সারা জীবনের জন্য।
অতএব সাবধান
’অটোসাজেশান’ এ ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজন।
’অমূলক ভয় ভীতি ও নেতিবাচক চিন্তা বা
নেতিবাচক কথার প্রভাব ও
প্রতিক্রিয়া থেকে আমার মন ও
মস্তিষ্ক পুরোপুরি মুক্ত থাকবে।’
এই কথাটি বলব বহুবারে
হোক তা মনে মনে বা জোরে জোরে
মানসিক শক্তি পেতে
বাক্যটি কিন্তু দারুণ কাজে লাগে।
কত ঘন ঘন লিখব
করতে পারেন অনেকেই প্রশ্ন
আসলে লিখতে হয় প্রতিদিন যে
নইলে এই গুণটি যেতে পারে ছুটে।
ভোরবেলা যখন চারপাশ নিরব
ভাবনা তখন থাকে সরব
কলম চলে সহজেই
অনেকের ঘুম হতে ওঠার আগেই।
লিখতে হলে পড়তে হবে
মিশতে হবে সবার সাথে
চোখ কান খুলে চলতে হবে
আসবে ভাবনা প্রতি ক্ষণে।
পৌঁছালে সৃষ্টিটি পত্রিকায়
অনেকেরই পড়ার সুযোগ হয়।
পত্রিকা যদি না ছাপায়
উৎসাহ যেন নাহি হারায়।
দেখালে লেখা পরিচিত জনে
প্রেরণা আসতে পারে প্রতি প্রহরে।
মূল্যবান এই রচনা
কেন শুধু ড্রয়ারেই রাখা?
সুরম্য এই ভবন, এত সব স্থাপনা থাকবে কি সবসময়?
লেখাটি থাকবে বেঁচে
যুগ যুগ ধরে
বহু প্রজন্মের মাঝে।
(রচনাকাল: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২; asheqbd@gmail.com)