এই ধরণিতে কতশত অপেক্ষা। কেউবা অপেক্ষা করে বাবার জন্য, মায়ের জন্য, স্বামীর জন্য আবার কেউ কেউ অপেক্ষা করে প্রিয় মানুষটির জন্য। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক।
তেমনি একটি অপেক্ষা কাহিনী উঠে এসেছে হুমায়ূন আহমেদের অপেক্ষা উপন্যাসের মধ্য দিয়ে। একটি পাঁচ সদস্য-সুখী-মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্তা হাসানুজ্জামান। মা আকলিমা, ভাই ফিরোজ, স্ত্রী সুরাইয়া এবং ছেলে ইমনকে নিয়েই হাসানুজ্জামানের পরিবার। নামের মধ্যে হাসি-হাসি ভাব থাকলেও হাসানুজ্জামান ছিলেন গুরুগম্ভীর প্রকৃতির মানুষ।
একদুপুর বেলা হাসানুজ্জামানের সাথে কথা হয় তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুরাইয়ার সাথে। কিন্তু সেদিন রাতে আর ফিরেন নি গুরুগম্ভীর মানুষটি। অনেক চেষ্টা করেও খুঁজে পান নি তার ভাই ফিরোজ। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে সুরাইয়া। উপন্যাসের শেষ পর্যন্ত খিটখিটে মেজাজ বিদ্যমান থাকে সুরাইয়ার। সদ্যোজাত সন্তান সুপ্রভা সহ কাউকেই সহ্য হতো না সুরাইয়ার। তিনি বিশ্বাস করতে থাকেন ইমনের বিয়ের দিনে হাসানুজ্জামান ফিরে আসবে।
এর কিছু দিন পর ভাইয়ের বাসা চলে যায় সুরাইয়া। ইমন আর সুপ্রভা ধীরে ধীরে বড় হয় তাদের মামাতো ভাই-বোন শোভন, টোকন ও মিতুর সাথে। তাদেরকে ঘিরেই উপন্যাস এগিয়ে যায়। ছোট্ট সুপ্রভা বড় হয়, ইমনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ সহ মজার ও বিষাদময় কাহিনী নিয়ে চলতে থাকে উপন্যাস।
উপন্যাসের এক পর্যায় সুরাইয়া তার ভাইয়ের বাসা থেকে চলে আসে ভাড়া-বাসায়। সেখানেই পরিচয় হয় মুন্নির সাথে সুরাইয়ার। ইমনের বিয়ে হয়। কিন্তু কার সাথে? মিতু নাকি মুন্নি? সেটা না হয় বইটি পড়ে জেনে নিয়েন।
ইমনের বিয়ের রাতে বারান্দায় বসেছিলো সুরাইয়া। হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠে!! তবে কি সত্যি হাসানুজ্জামান ফিরে এসেছিলেন??
ভালোলাগা লাইন:
“জীবিতদের জন্যে মানুষ অপেক্ষা করে, মৃত মানুষদের জন্যে কেউ অপেক্ষা করে না।"