সে বিষন্নতার বন্দী; সুদীর্ঘকাল।
যে বন্দীশালায় নেই খোলা জানালা,
যেখানে আনন্দকে দেখা যায়।
না দেখা যায় উন্মুক্ত নীলাকাশ।
এখানে শুধু জ্বলে থাকে ম্লান
হলুদ আলোর বাতি।
যে বাতি শুধু নিয়ে খেলে,
এক আলো-আধারির খেলা।
এখানে বাতাস অনেক ভারী,
নি:শ্বাস নিতে কষ্ট হয়!
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দিতেই,
যেন বা স্বস্তি।
অবিরাম নৈ:শব্দ যেন এখানকার,
ছন্দময় সংগীত।
সামান্য শব্দের উপস্থিতি,
এখানে বড় কর্কষ!
এখানে ক্ষুধা নেই, নেই ঘুম।
কিন্তু আছে একরাশ অবসাদ।
যে অবসাদ কোন কাজের তাড়না দেয় না,
যতক্ষন পর্যন্ত না এই বন্দীজীবন;
তীব্র অসহ্য হয়ে ওঠে!
তখন মনে হয় একটাই কাজ,
আত্মহননের জন্য নূন্যতম শক্তিক্ষয়!
এরপর,
মুক্তি মেলে আত্মার,
শেষ দীর্ঘশ্বাসটি সে জমা দিয়ে যায়,
বিষন্নতার বন্দীশালায়।
যে বন্দীশালায় সে কখনো জন্মায় নি,
মুক্ত আকাশ, সজীব বাতাস আর
রাঙা সূর্যের উত্তরাধিকার ছিল যার।
সমাজ আর নিয়মের কষাঘাত,
কাছের-দূরের মানুষের নির্দয়তা;
রাষ্ট্রের নিরাসক্ত আচরন,
অভাবের নিত্যদিনের যাতনা,
আনন্দের, অর্থের আর মমতার!
মনের জানালাগুলো বন্ধ হতে থাকে,
ধীরে, নি:শব্দে।
চোখে নামতে থাকে নির্লিপ্ত চাহনি!
ক্ষীন হতে হতে মিলিয়ে যায় স্বর।
শুরু হয়ে যায় তার,
বিষন্নতার বন্দীজীবন!