পোস্টস

পোস্ট

সুদ বর্জন না করার সাথে, আল্লাহ এবং রাসূলের(সাঃ)সাথে যুদ্ধের সম্পর্ক কী?

২৪ জুন ২০২৪

মাহবুব আলম ফয়েজ (লিকছন)

সুদ বর্জন না করার সাথে, আল্লাহ এবং রাসূলের(সাঃ)সাথে যুদ্ধের সম্পর্ক কী?

ইসলামে সুদ হারাম। সুদ নিষিদ্ধ করেছে, সেটা বুঝলাম। সুদ কোন ডাকাতি বা হত্যাকাণ্ড নয়। সুদ কি এমন খারাপ কাজ যে, এটার বিরুদ্ধে আল্লাহ ও তার রসুলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ ঘোষনা হয়েছে?

হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং যদি তোমরা মু’মিন হও তাহলে সুদের মধ্যে যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন কর।(২:২৭৮)
O you who believe! Be afraid of Allah and give up what remains (due to you) from Riba (usury) (from now onward), if you are (really) believers.

কিন্তু যদি না কর তাহলে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাথে যুদ্ধ করতে প্রস্ত্তত হয়ে যাও। আর যদি তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর তাহলে তোমাদের মূলধন পেয়ে যাবে, তোমরা অত্যাচার করবেনা এবং তোমরাও অত্যাচারিত হবেনা।(২:২৭৯)
And if you do not do it, then take a notice of war from Allah and His Messenger but if you repent, you shall have your capital sums. Deal not unjustly (by asking more than your capital sums), and you shall not be dealt with unjustly (by receiving less than your capital sums).

আব্বাস (রাঃ) বলেন: 'কিয়ামাতের দিন সুদখোরকে বলা হবে, 'তোমরা অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত  হয়ে যাও আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও।' (তাবারী ৬/২৬)

সম্ভবত, এমনও হতে পারে আল্লাহর সাথে যুদ্ধ বলতে "সুদ গ্রহণ কারীদের"জন্য জাহান্নাম সুনিশ্চিত। আমরা যেমন ঘনিষ্ট কাহারও সাথে মনমালিন্য হলে বলে থাকি,আজকে থেকে তোমার আমার সম্পর্ক এখানে শেষ, অর্থাৎ তোমার সাথে যুদ্ধ।

তিনি বলেনঃ 'যে সময়ে যিনি ইমাম থাকবেন তার জন্য এটা অবশ্য কর্তব্য যে, যারা সুদ পরিত্যাগ করবেনা তাদেরকে তাওবাহ করাবেন। যদি তারা তাওবাহ না করে তাহলে তিনি তাদেরকে হত্যা করবেন।' (তাবারী ৬/২৫) হাসান বাসরী (রহঃ) ও ইব্‌ন সীরীনেরও (রহঃ) এটাই উক্তি।

এই উক্তিটি তখনকার নেতা রাসূল (সা:) এর জন্য।

সুদ